অনলাইন অ্যাপস্ ভিত্তিক গেমস্’র লিঙ্ক বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি লকডাউনের পর। গতকাল বৃহস্পতিবার তথ্য জানিয়েছেন রিটের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। তিনি জানান,টিকটক,বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকিসহ এ ধরণের অনলাইনভিত্তিক অ্যাপ অপসারণ এবং লিংক বন্ধের জন্য করা রিটের শুনানি হওয়ার তারিখ ধার্য ছিলো ৪ জুলাই। কিন্তু নিয়মিত আদালত বন্ধ থাকায় লকডাউনের পর শুনানি ধার্য করা হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের কপি বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে গত বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৪ জুন মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে গেম এবং অ্যাপগুলোর ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে জনস্বার্থে রিট করা হয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার ও লাইকির মতো অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে।
রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (ডিজি), বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ ও নগদকে বিবাদী করা হয়। এর আগে গত ১৯ জুন এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশে পাঠানো হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় রিট করেন।
রিটে বলা হয়, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেম যুব সমাজকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
টিকটক, লাইকি অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি নারীপাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থপাচারের ঘটনায়ও টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশের ও জনস্বার্থের পরিপন্থী।এটা শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধেরও পরিপন্থী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন