শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

কঠোর লকডাউনই করোনার লাগাম টেনে ধরার একমাত্র উপায়

অজয় কান্তি মন্ডল | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ক্রমশঃ খারাপের দিকে যাচ্ছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত যাবতীয় পদক্ষেপকে সাথে নিয়েই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের হার, শনাক্তের হার, মৃত্যুর হার। বর্তমানে দেশের প্রতিটা গ্রামে পাওয়া যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগী। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ বহুদিন ধরে সর্দি-জ্বর সহ করোনা উপসর্গ নিয়ে ভুগছে। এদের মধ্যে যাদের শক্তি, সুযোগ আছে তারা পা বাড়াচ্ছে হাসপাতালের দিকে। বাকিরা ঘরোয়া চিকিৎসায় নিজ নিজ বাড়িতেই দিনের পর দিন পার করছে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তারা স্বাভাবিকভাবেই সেরে উঠছে। আবার অনেকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। দেশের সব বিভাগের পাশাপাশি খুলনা বিভাগের বেশিরভাগ জেলার বাস্তব চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে ভয়াবহ। সঠিক পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, এসব জেলাগুলোর প্রতি বাড়িতেই করোনা রোগী আছে।

এই পরিস্থিতি দেশের জনগণের সামনে হাজির হবে সেটা বহু পূর্ব হতেই অনেকেই সাবধান করলেও তাতে তেমনটা ফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত সরকার কঠোর লকডাউনে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারের বহু আগেই নেওয়া উচিত ছিল। কেননা, ইতোমধ্যে জানমালের বেশ ক্ষতি হয়ে গেছে। সেইসাথে বর্তমানে ব্যাপকভাবে বিস্তার রোধ করা করোনা ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণ একটু হলেও দুরহ হবে। তারপরেও, এই পরিস্থিতিতে এধরনের উদ্যোগ নেওয়াটাই শ্রেয়। অনেকের মুখে ইদানিং শোনা যাচ্ছে, ‘বাংলাদেশের করোনার পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য দেশের থেকে তুলনামূলক ভালো।’ নিঃসন্দেহে এটি একটি আশার বাণী। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেভাবে এগুচ্ছে তাতে এই বাণী বেশিদিন টিকবে না। টিকাতে হলে অবশ্যই করোনা নিয়ন্ত্রণে নিয়মনীতির যথাযথ এবং বাস্তব প্রয়োগ করতে হবে।

ইতোমধ্যে প্রায় দেড় বছর ধরে চলমান করোনা আলো-আঁধারের খেলায় দেশের নিন্মবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। জাতীয়ভাবে করোনা মোকাবেলায় বিগত দিনগুলোতে গৃহীত অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তে সবাই এখন ক্লান্ত। দেশের নিন্মবিত্ত শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ, দিন মজুরেরা সবাই এখন একরকম দিশেহারা। তাদের এই কঠোর লকডাউনে অবশ্যই বিকল্প উপায়ে ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। কেননা, তাদের প্রতিদিনের আয়ের টাকায় বাড়ির খাবার রান্না হয়, পরিবারের চুলা জ্বলে। অনেক মধ্যবিত্তও এই আপদকালীন সময়ে নিন্মবিত্তের মতো দিনাতিপাত করছে। জনসমক্ষে বলতে না পারলেও তারা নিন্মবিত্তের মতই চালিয়ে নিচ্ছে। আপদকালীন বিগত দিনগুলোতে অনেক চাকরিজীবী তাদের চাকরি হারিয়ে পথে বসেছে। বিশেষ করে, ব্যক্তিমালিকানাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বহুদিন ধরে বন্ধ থাকায় সেখানে চাকরিরত শিক্ষকরা বহু পূর্বে চাকরিহারা হয়েছে। যেসকল ছাত্র-ছাত্রী নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যের ছেলেমেয়ে পড়িয়ে বা টিউশন করে নিজের চলার খরচ জোগাড় করত, তারা সবাই এখন উল্টো পরিবারের বোঝা হয়ে মা-বাবার আয়ের উপর নির্ভর করছে। লকডাউনে নিন্মবিত্ত বা দিনমজুরের কীভাবে দিনাতিপাত করবে, আগেই সে বিষয়ে পরিষ্কার রূপরেখা থাকা উচিৎ। না হলে মানুষ পেটের দায়ে সকল বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হতে বাধ্য হবে।

কঠোর লকডাউন সেটা ৭ দিন বা ১৪ দিনের জন্য এমনটা উল্লেখ করে না দেওয়াটাই ভালো। বরং ঘোষণাটা এমন হতে হবে, যতদিন পর্যন্ত পুরোপুরি করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসবে ততদিন লকডাউন বলবৎ থাকবে। তাহলে মানুষের মনে একটা ভীতি কাজ করবে। সবাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা মাথায় নিয়েই নিজ নিজ অবস্থানে থাকবে। অযথা একসপ্তাহ পরে বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রাখবে না। ‘কঠোর লকডাউন আগামী একসপ্তাহ পুনরায় বাড়ানো হলো’ এ ধরনের কথা বললে জনমনে লকডাউনের সেই কঠোরতা প্রকাশ পায় না। তাছাড়া প্রতি সপ্তাহের বর্ধিত লকডাউনে জনগণ তাদের পূর্ব পরিকল্পিত কাজে শত বাধা বিপত্তির পরেও বের হয়ে পড়ে। তাই সময় উল্লেখ করে লকডাউনে গেলে মানুষের চলাচল একটু হলেও নিয়ন্ত্রিণহীন হয়ে পড়ে।

কঠোর লকডাউন ঘোষণা করলেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে বা একেবারে নির্মূল হবে তেমনটা ভাববার অবকাশ নেই। কেননা, এখন গ্রামের অলিগলি সবখানেই ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে। এর লাগাম ধরতে হলে দরকার যথাযথ কাট-আউটের ব্যবস্থা করা। ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতিটি ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সকলকে র‌্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে আক্রান্তদের দ্রুত আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের সুস্থতার জন্য ব্যবহৃত যাবতীয় মেডিকেল সরঞ্জামাদি নিশ্চিত করতে হবে। নীতি নির্ধারকদের মাথায় রাখতে হবে, চীনের ‘উহান’ থেকে উদ্ভূত এই ভাইরাস একজন থেকে কয়েক কোটি হতে সময় লাগেনি। একমাত্র এর সংক্রমণ রোধে নিজেদের আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ আপাতত বের হয়নি।

করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন। শুরুর দিকে চীনের পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ ছিল। মৃত্যের সংখ্যা, আক্রান্তের হার এত বেশি ছিল যেটা বিশ্বের সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। চীনে থাকার সুবাদে দেখেছিলাম, সেই আপদকালীন সময়ের বাস্তব চিত্র। সেই সময়ে ভেবেচিন্তে চীনা কর্তৃপক্ষের সুদূরপ্রসারী কঠোর এবং যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। অল্প কিছুদিনের কঠোরতা অবলম্বন করেই স্বাভাবিক জীবনে গতি ফিরিয়ে এনেছে চীন। তারপরেও এটাতে চীনের সময় লেগেছে প্রায় দুই মাস। কোথাও কোথাও তারও বেশি। ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে এনে পরবর্তী সময়ে চীনারা স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। ফলে সাময়িকভাবে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর প্রভাব পড়লেও অল্প কিছুদিনের ভিতর সেটা কাটিয়ে উঠে চীন এখন করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের এক নম্বরে স্থান পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে তিলে তিলে ভোগার চেয়ে একেবারে কঠোরতা অবলম্বন করে করোনা থেকে পরিত্রাণ মেলানোই ছিল চীনা প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। যেটা জাতীয় পর্যায়ের সকল স্তরে সাময়িকভাবে খারাপ প্রভাব পড়লেও পরবর্তী সময়ের জন্য অধিক উপযোগী। এখন চীনের সব প্রদেশ করোনামুক্ত। মাঝেমধ্যে কিছু প্রদেশে ১-২ জন করে লোকালি ট্রান্সমিশন হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আর এই ১-২ জনের জন্য চীন যে তৎপরতা দেখায় সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। এ ধরনের তৎপরতা বা কঠোরতা আমাদের দেশ করতে পারলে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভবপর হবে।

চীনের লকডাউনের সময় আমরা পার করেছি মহা ভীতিকর অবস্থা। সেই সময়ে চারিদিকে এতটা নীরবতা এবং খাঁ খাঁ পরিবেশ বিরাজ করত যে, মাঝেমধ্যে রুমের জানালা খুলতেও ভয় পেতাম। মেইন রোডের ধারে আমাদের বাসা হওয়ায় চীনাদের লকডাউনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখেছিলাম। সাধারণ জনগণ কাউকেই রাস্তায় বের হতে দেখিনি। বহু নিয়ম কানুন মেনে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে, আমি সপ্তাহে একবার বা পনেরো দিনে একবার বাইরে গেছি বাজার করার জন্য। সেই সময়ে নিত্যদিনের খাবার ব্যবহারে বেশ মিতব্যয়ী হয়েছিলাম আমরা। জানতাম না এমন দশা থেকে কবে পরিত্রাণ মিলবে। মাঝেমধ্যে শুনতাম এমন পরিস্থিতি আগামী ছয়মাস বা এক বছরও থাকতে পারে। এসব শুনে গা শিউরে উঠত। চার বছরের মেয়েকেও সেসময়ে শিখিয়েছিলাম কীভাবে খাবার কম খেয়ে জীবনধারণ করতে হয়। নিজেদের বেঁচে দেশে ফেরা যেখানে অনিশ্চিত ছিল, সেখানে বাচ্চাকে এমন শিক্ষা দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় ওই দুই মাস এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেশ চড়া ছিল। কিন্তু খাবার ব্যবহারে মিতব্যয়িতার কারণে সেই বাড়তি দাম আমাদের জন্য বরাদ্দ মাসিক খরচের তালিকায় তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।

প্রথমে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও লকডাউনের কঠোরতার ফলেই একমাসের মধ্যেই চীনে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছিল। প্রতিদিন কমতে কমতে এক পর্যায়ে শূন্যের কোটায় নেমে এলো। দুই মাসের মাথায় দুই একটা প্রদেশ ছাড়া অধিকাংশ প্রদেশ চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল। আমরা বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পেলাম। এরপর জনজীবন স্বাভাবিক হতে লাগল। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলেও চীনের কঠোরতা চলাকালীন সময়ে পুরো সময়টা পরিবারকে দেওয়ায় বাচ্চাটাও অনেক বেশি খুশি ছিল। কেননা পূর্বে কাজের বেশ চাপ থাকায় পরিবারকে অতটা সময় আগে দেওয়া হয়নি।

করোনাকালীন সময়ে চীনের অনেকেই তাদের চাকরি হারিয়েছে। অনেক দিনমজুরের চার দেয়ালের মধ্যে বসে থাকতে হয়েছে বন্দির মতো। যারা চাকরি হারিয়েছে তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার আগের চাকরি বা নতুন করে অন্য চাকরিতে যোগদান করেছে। সরকার দিনমজুরদের সাহায্য করেছে। তবে সেজন্য এখানকার জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সরবরাহ করা লাগেনি। কেননা, এদের সাহায্যের ধরনটা একটু ভিন্ন ধরনের। ডিজিটাল পদ্ধতিতে। আর এজন্য জনপ্রতি বরাদ্দের পুরো অর্থটাই এদের ব্যবহৃত আইডি কার্ডের সাথে যুক্ত ব্যাংক কার্ডে সরাসরি জমা পড়েছে। সাহায্যের জন্য যথাপযুক্ত তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের কাছে অর্থ পৌঁছে গেছে চোখের নিমিষেই অন্য কোনো মাধ্যমের সাহায্য ছাড়াই। যেটা জনগণ প্রয়োজন অনুযায়ী উত্তোলন করে নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পেরেছে। দুর্নীতিবাজ বা মধ্যসত্ত¡ভোগীদের মাধ্যম দিয়ে জনপ্রতি বরাদ্দের অর্থ ভুক্তভোগীদের কাছে পৌঁছাতে কেউ ভাগ বসাতে পারেনি। যেটা গরীব মেহনতি মানুষের জন্য অনেকাংশে সুফল বয়ে এনেছে।

অবশ্য আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আমাদের দেশে এখন এমন রীতি হয়ে গেছে, যেকোন ধরনের জাতীয় মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভুক্তভোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণে অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি বা রাঘব বোয়ালেরা ওতপেতে বসে থাকে। তাদের কাছে এসব মহামারী বা দুর্যোগ যেন আশীর্বাদরূপে আবির্ভূত হয়। আমরা বিগত দিনের সরকারি উদ্যোগে জনগণের সাহায্যার্থে নেওয়া নানান পদক্ষেপে এসব চিত্র দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এজন্য আপদকালীন সময়ে গরীব মেহনতি মানুষের সাহায্যার্থে সরকারের জনপ্রতি বরাদ্দের পুরোটাই যেন তাদের হাতে পৌঁছায় সেদিকেও নীতি নির্ধারকদের অতি গুরুত্বের সাথে দৃষ্টি রাখতে হবে।

লকডাউনের কঠোরতা চলাকালীন সময়ে বিদেশি কোনো নাগরিককে দেশে প্রবেশ করতে না দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যদি এটা সম্ভব পর না হয়ে ওঠে তাহলে বাইরের দেশ থেকে আসা সকলকে অবশ্যই বাধ্যতামূলক আইসোলেশানের ব্যবস্থা করতে হবে। আইসোলেশানের মেয়াদ ১৪ থেকে ২১ দিন হওয়া বাঞ্ছনীয়। লকডাউনের সুফল পেতে হলে সবদিকেই প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে জনগণের চাহিদার তুলনায় নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্র। যেগুলো আছে সেগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে জনগণের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স এবং পর্যাপ্ত মেডিকেল সরঞ্জামাদির অপ্রতুলতা লক্ষ করা যায়। ভারতের পরিস্থিতি আমরা দেখেছি। আমাদের দেশেও সেটা অনেক জায়গায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। স¤প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি, ভারতের মতো কিছু কিছু হৃদয় বিদারক ঘটনা। যেখানে প্রিয়জনকে বাঁচানোর তাগিদে, একটু শ্বাস প্রশ্বাসে সহযোগিতা করার জন্য নিজেদের জীবন বিপন্ন করতেও দ্বিধাবোধ করছে না অনেকেই।

জনগণকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, যত নিয়ম নীতিই সরকার করুক না কেন সেটার বাস্তবায়ন করতে সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে প্রত্যাশিত। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে যে ভোগান্তি পুরো বিশ্বময় ছড়িয়েছে তার লাগাম টানতে অবশ্যই সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।
ajoymondal325@yahoo.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন