স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রথমবারের মতো টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে কার্বন ফাইবার টাওয়ার স্থাপন করেছে ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি। গতকাল (শনিবার) প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথাগত টাওয়ারের চেয়ে এ টাওয়ার অবকাঠামো ব্যয় সাশ্রয়ী, টেকসই এবং কম ওজনের হওয়ার কারণে ভবনের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে না। এতে করে ভবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশে। কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি টাওয়ারটি সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার শ্যামলী টেকনিক্যাল মোড়ের একটি ভবনের ছাদে স্থাপন করা হয়েছে। নতুন এ উদ্ভাবনী টাওয়ার প্রথাগত স্টিলের টাওয়ারের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম ওজনের। প্রয়োজন অনুসারে টাওয়ারটি প্রসারণ বা সঙ্কোচন করা সম্ভব হওয়ায় ভবনের ছাদে প্রতিস্থাপন সহজ। উদ্ভাবনী উপকরণ ব্যবহার করে উচ্চ কার্যক্ষমতা ও স্থায়িত্ব সম্পন্ন অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত ইডটকো পরিচালিত গবেষণা অগ্রগতির ফলাফল এই কার্বন ফাইবার টাওয়ার।
নতুন এই টাওয়ার স্থাপন সম্পর্কে ইডটকো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যারিল সিনাপ্পা বলেন, “উদ্ভাবনী শক্তি, নিত্য নতুন প্রযুক্তির সফল পরীক্ষার মাধ্যমে সেটি চালু করে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবায় পথিকৃৎ হওয়াই ইডকোর স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা অনন্য উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চাই। ভবনের ছাদে কার্বন ফাইবার অবকাঠামো স্থাপন ভবিষ্যতে আরো উদ্ভাবনী টাওয়ার নির্মাণের পথকে গতিশীল করবে, যা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ-রূপকল্প ২০২১ বিনির্মাণে অবদান রাখবে।
কার্বন ফাইবার টাওয়ার জনাকীর্ণ স্থান এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহর যেখানে কম ওজন সহনশীল ভবন রয়েছে সে সব স্থানে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সহায়ক। হালকা ওজনের হওয়ার কারণে ভবনের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না, স্থাপনে স্টিলের টাওয়ারের চেয়ে প্রায় অর্ধেক কম সময় ব্যয় হয়। ছোট ভিত্তির উপর স্থাপন করা যায়। এ সব কারণে ছাদের উপর বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
প্রতিকূল আবহাওয়ায়, বিশেষ করে প্রবল বায়ু প্রবাহের সময়ও এ কাঠামোর কোন ক্ষতি হয়না। ভিন্নধর্মী ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিশেষত, বাংলাদেশের মতো ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় এ ধরনের টাওয়ার খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়া সহজে ক্ষয় হয়না বলে স্থায়িত্ব বেশি, যা টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমায়।
এ সব বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি অপারেটরের টোটাল কস্ট অব ওনারশিপ (টিসিও) ২০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সমন্বয়ের ভিত্তিতে টিসিও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে ইডটকোর।
কম স্টিলের ব্যবহার এবং এটি তৈরিতে কম কার্বন নিঃসরণ (প্রায় ৪০ শতাংশ কম) হওয়ায় সব মিলিয়ে কার্বন ফাইবার অবকাঠামো যথেষ্ট পরিবেশবান্ধব।
ইডটকো গ্রæপের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশ এশিয়ার প্রথম আঞ্চলিক টাওয়ার সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও মায়ানমারের বাজারে ১ দশমিক ৫ অনুপাতে কো-লোকেশনসহ ইডটকোর টাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার আটশত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন