সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কোরবানির বর্জ্যরে পরিবেশ অর্থনীতিবান্ধব ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার দাবি পবার

প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : কোরবানির বর্জ্যরে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিবান্ধব ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। তাদের মতে, সারা দেশে বছরে যে পরিমাণ পশু জবাই করা হয় তার প্রায় ৫০ ভাগ কোরবানির ঈদে জবাই হয়। জবাইকৃত পশুর বর্জ্য-রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, গোবর, হাড়, ক্ষুর, শিং সঠিক ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনতার অভাবে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। পরিবেশসম্মত কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে করা হলে একদিকে পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা, অন্যদিকে জবাইকৃত পশুর ঊচ্ছিষ্টাংশসমূহ সম্পদে পরিণত করা সম্ভব হবে। গতকাল শনিবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) পরিবেশ মিলনায়তনে ‘কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা উক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধে আলোকের বক্তব্য তুলে ধরেন পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়-পবিত্র মক্কায় কোরবানি ও পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে রয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনশক্তি দ্বারা পরিপূর্ণ ধর্মীয় নির্দেশনা অনুযায়ী পশু কোরবানি করা হয়। এর ফলে দুর্গন্ধ ছড়ানো, রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটা, পশুর চামড়া বিনষ্ট, বর্জ্যরে ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। পশুর চামড়া অত্যন্ত দামী ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিধায় দক্ষ হাতে চামড়া ছাড়ানো হলে এর অযথা ক্ষতি এড়ানো যায়। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে কোরবানি হলে পশুর গোশত ময়লা ও জীবাণুযুক্ত হবে না এবং পশুর রক্ত, গোবর, নাড়িভুঁড়ি, হাড় ও অন্যান্য উচ্ছিষ্টাংশ সার, বোতাম, চিরুণী, মৎস্য খাদ্য, পশু খাদ্যসহ বেশ কিছু শিল্পে ব্যবহার করা যাবে। এবারের ঈদে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা, গর্ত খুঁড়ে কোরবানির পশু রক্ত পুঁতে ফেলা এবং কোরবানির অযোগ্য, অসুস্থ ও ত্রæটিযুক্ত পশু কোরবানি না দেয়ার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে স্থানীয় সরকার, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব বক্তা আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বড় আকারের পশুর এসব হাড় রফতানি করে শত কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। চীন ও থাইল্যান্ডে এসব হাড়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। শুধু অসচেতনতা আর অবহেলার কারণে কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। আন্তর্জাতিক বাজারে হাড়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। শুধু কোরবানির গরুর হাড়ের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। কোরবানিসহ সারা বছর জবাইকৃত গরুর হাড়ের মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন