লকডাউনকে পুঁজি করে এক শ্রেণির অসাধু মাদকব্যবসায়ী ও মাদক চোরাকারবারিরা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে জরুরি পণ্য সেবার আড়ালে মাদক পরিবহন করছে। যারা লকডাউনকে পুঁজি করে মাদক চোরাকারবারি ও পরিবহন করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়ায়া, গাঁজা ও ফেনসিডিল উদ্ধারসহ চারজনকে আটক করা হয়। গতকাল রোববার রাজধানীর উত্তরায় সোনারগাঁ জনপথ রোডে ‘লকডাউনে’ সরকারি বিধিনিষেধ মানাতে র্যাবের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কামান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত কঠোর বিধিনিষেধের রোববার চতুর্থ দিন। গত তিন দিনে যারা বিধিনিষেধ অমান্য করেছে এমন প্রায় সাত শতাধিক মানুষকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যারা পাড়া-মহল্লাতে জমায়েত করার চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধেও র্যাব অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত শনিবার থেকেই পাড়া-মহল্লাতে র্যাব অভিযান শুরু করে। এছাড়া পাড়া-মহল্লার ভেতরে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, মাইকিং করা হয়েছে ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ‘কঠোর লকডাউন’ বাস্তবায়নে র্যাব সদস্যরা মাঠে থেকে কাজ করছেন। নাগরিকদের অনুরোধ করবো করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন, ঘরে থাকবেন ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গার্মেন্টসের মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি অবশ্যই দৃষ্টি রেখেছি। তারা যেন সঠিকভাবে গার্মেন্টসে যেতে পারেন এবং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন এই ব্যবস্থা আমরা সব সময়ই করছি। চেকপোস্টে সঠিক পরিচয় দিলে এবং গার্মেন্টসের কথা বললে আমরা তাদের ছেড়ে দিচ্ছি। তবে গার্মেন্টস মালিকদের অনুরোধ করবো তারা যেন গার্মেন্টসের কাছাকাছি থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। দূর থেকে যাতায়াত করলে ভোগান্তি হতে পারে।
লকডাউনের র্যাবের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে ৩১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদন্ড দেন। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে শনিবার সারা দেশব্যাপী র্যাবের ১৭২টি টহল ও ১৮১টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন