চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাজধানীর সড়কে আগের তিনদিনের চেয়ে গাড়ির চাপ ছিল বেশি। চেকপোস্টে যানবাহন তল্লাশীতে তৎপর ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারা ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান লকডাউনে ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় চলার কোনো সুযোগ নেই। তবে প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা গাড়িগুলো রাস্তায় চলতে পারবে।
গতকাল রাজধানীর সাত মসজিদ রোড, মিরপুর রোড, গাবতলী, রামপুরা ও যাত্রাবাড়ি এলাকার চেকপোস্ট ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। তবে অপ্রয়োজনে বের হওয়া গাড়ির বিরুদ্ধে মামলাও দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ৪৯৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ সময় প্রায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে। ডিএমপির মতিঝিল জোনের ডিসি আ. আহাদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সকাল থেকে গাড়ি বেশি ছিল রোববার। অনেকেই মতিঝিল, গুলশান বা উত্তরায় অফিসে যাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। আমরা তাদের কথায় সন্তুষ্ট হলেই কেবল গাড়ি ছাড়ছি। না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কেউ রাস্তায় বের হলে যুক্তিক কারণ না বলতে পারলে আইনগত কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আমরা পাড়া-মহল্লায় নজরদারির মধ্যে রেখে কাজ করছি বলে তিনি মন্তব্য করেন। ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদ আহসান সাংবাদিকদের বলেন, রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। এছাড়া লকডাউনের চতুর্থ দিন। বিগত তিনদিনের তুলনায় গাড়ির চাপ একটু বেশি। গাড়ির চাপ বেশি থাকলেও আমাদের সদস্যরা কঠোরভাবেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এছাড়া বেশকিছু গাড়ি আমরা ঘুরিয়ে দিয়েছি। কারণ রাস্তায় বের হওয়ার পক্ষে যথাযথ কারণ তাদের ছিল না। কয়েকটি গাড়ির বিরুদ্ধে জরিমানাও করা হয়েছে।
গাবতলী চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা দারুসসালাম ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইত্তেখায়রুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কল-কারখানার যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন তাদের গাড়ি আমরা বেশি দেখছি। কলকারখানার নামে যেসব গাড়ি আছে আমরা তাদের অ্যালাউ করছি। বাকিদের অ্যালাউ করছি না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। রাস্তায় যেহেতু গাড়ি বেশি নেমেছে, আর কঠোর চেকিং হচ্ছে, তাই জট একটু হবেই।
বাংলা কলেজের সামনে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট কামরুজ্জামান বলেন, চেকপোস্টগুলোতে ক্রাইম পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। সকাল ৬টা থেকে রাত পর্যন্ত তাদের ডিউটি করতে হচ্ছে। তবে এর মধ্যে শিফট করে করে পুলিশ সদস্যদের ডিউটি পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শনিবারের চেয়ে সড়কে পরিবহনরে চাপ কিছুটা বেশি থাকলেও বৃষ্টি হলে সেটি অনেক কমে যায়। বৃষ্টির কারণে পুলিশ সদস্যরাও ঠিকভাবে ডিউটি করতে পারে না, বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। সড়কে চলাচলরত যেসব পরিবহণ বিধিনিষেধ অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন