স্টাফ রিপোর্টার: দেশে প্রতিবছর প্রায় তিন লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। এদের মধ্যে প্রাায় আড়াই লাখ চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রচলিত সার্জারি, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি পদ্ধতির মধ্যে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। রেডিওথেরাপি তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল। আর রেডিওথেরাপি চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মেশিনের সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ। গুরুত্বপূর্ণ এই রেডিওথেরাপির চিকিৎসা নিয়ে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট ও ফিজিসিস্টদের বার্ষিক সম্মেলন’-২০১৬।
গতকাল শনিবার সকালে ইস্কাটনের বিয়াম মিলনায়তনে এই সম্মেলন শুরু হয়। বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট (বিএসআরও) ও বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স সোসাইটি (বিএমপিএস) এই সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালাইড সায়েন্স, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপি বিভাগ, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং (বিএসআরআই), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসিক সায়েন্স এন্ড প্যারা ক্লিনিক অনুষদ এর ডীন প্রফেসর ডা. মো. ইকবাল আর্সলান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্ত। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মানি’র চিকিৎসক ড. মারটিনা ট্রেইবার। প্রধান আলোচক ছিলেন প্রফেসর ড. গোলাম আবু জাকারিয়া। আরো উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী মুশতাক হোসেন ও মো. আবু কাওসার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রচলিত সার্জারি, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি পদ্ধতির মধ্যে রেডিওথেরাপি তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল। এই রেডিওথেরাপি চিকিৎসায় মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করে পার্শ্ববর্তী সুস্থ কোষকে রক্ষা করা, যা ট্রিটমেন্ট প্ল্যানিং সিস্টেম (টিপিএস)-এর মাধ্যমে করা হয়। উল্লেখ্য, টিপিএস হচ্ছে রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট এর নির্দিষ্ট করে দেয়া রেডিয়েশেন ডোজ মেডিকেল ফিজিসিস্ট টিউমারে প্ল্যানিং করে দেয় যাতে আমাদের শরীরের সাধারণ কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন