বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়ন থেকে অপহৃত মহি উদ্দিন হেঞ্জু নামের এক সিএনজি চালককে উদ্ধার করেছে র্যাব-১১। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৪ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত ইমন, একই গ্রামের শহিদ উল্যার ছেলে শাহরিয়ার হোসেন শাওন আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের লাকুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে শামীম চৌধুরী ও জীরতলি ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে হৃদয়।
জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমিন বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন সিএনজি চালক মহি উদ্দিন হেঞ্জু। পথে মিয়াপুর গোফরান কন্ট্রাক্টর বাড়ির সামনে পৌঁছলে ইয়াছিন আরাফাত ইমন ও সাগরসহ ৮/১০ জন মহি উদ্দিন হেঞ্জুর গতিরোধ করে। এসময় হেঞ্জু চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে তারা তাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তারা জোরপূর্বক হেঞ্জুকে ওই বাড়ির পিছনের পুকুর পাড়ের জঙ্গলে নিয়ে যায়। ওইস্থানে নিয়ে তারা হেঞ্জুর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের দাবিকৃত মুক্তিপণ না দিলে হেঞ্জুকে অস্ত্র দিয়ে পুলিশে সোপর্দ ও হত্যার হুমকি প্রদান করে।
পরে অপহরণকারীরা হেঞ্জুর ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার ছোট ভাই সুমনকে কল দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলে।
র্যাব জানায়, অপহৃতের ভাই সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমিন বাজার এলাকায় র্যাবের একটি টহল টিমকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবগত করেন। বিষয়টি জানার পর সোয়া ৭টার দিকে গোফরান কন্ট্রাক্টর বাড়ির পিছনের জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে অপহৃত হেঞ্জুকে উদ্ধার করা হয়। এসময় চার জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আরও দুই জন জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে। র্যাব-১১, সিপিসি-৩, ল²ীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত ৪ জন আন্তঃজেলা অপহরণ চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ চক্রের অপর সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘটনায় অপহৃত ব্যক্তি বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন