বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়েও রোগীর চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালটির ২২টি আইসিউ বেডে গত মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রোগী ছিলেন ২৩ জন। হাসপাতালে ৭৩টি হাইফ্লোন্যাজাল ক্যানোলার ৫৩টিই করোনা ওয়ার্ডে স্থাপন করা হয়েছে। ১টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ছাড়াও ১০৫টি সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের সাহায্যে সরবরাহ অব্যাহত থাকার কথা বলেছেন পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম। তবে এর বাইরে ১ হাজার শয্যার এ হাসপাতালে গড়ে চিকিৎসাধীন দেড় হাজার রোগীর জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে মাত্র ৩১০টি।
গত বছর ১০ মার্চ থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ হাসপাতালের আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে ৫ হাজার ৫০ রোগী ভর্তি করা হয়েছে। মারা গেছেন ৭৮৯ জন। সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে করোনার ভয়াবহ বিস্তারের মধ্যে এর চিকিৎসা নিয়ে নতুন দুঃশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার ১.৬৭%। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৩.৯৩% করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। গত বছর ১২৫ বেড নিয়ে করোনা ওয়ার্ড চালু করা হলেও ক্রমান্বয়ে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ২৭৮ করা হয়। গত মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রোগী ছিলেন ২১৩। ২২টি আইসিউতে ২৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনা ওয়ার্ডে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ১২টি।
করোনা রোগীদের চিকিৎসার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক সঙ্কটসহ বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার মাঝেও আমরা চেষ্টা করছি রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে। তার মতে, শুধু বরিশাল বিভাগের ৬ জেলাই নয় বাগেরহাট, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জের রোগীরাও এ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসছেন বলে জানান তিনি। এতো রোগীর চাপ সামাল দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি সম্ভব সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নসহ সার্বিক ব্যবস্থায় গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন