চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ : চট্টগ্রাম ব্যুরো : ‘সাতটি সৃজনশীল মানব না’, ‘ছয়টির বেশি লিখব না’, ‘আমরা মানুষ, রোবট নই’, ‘নিত্যনতুন পদ্ধতি করে আমাদের ক্ষতি করবেন না’ এসব ¯েøাগানে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান সড়কে প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করেছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। গতকাল (রোববার) দুপুরে বন্দরনগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাব চত্বরে এ সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা এ সময় নগরীর গনি বেকারি থেকে জামালখান পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ শেষে তারা মিছিল নিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। এ সময় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, আসন্ন ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নে ১০ নম্বর বৃদ্ধি ও বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ১০ নম্বর কমিয়েছে সরকার। পরিবর্তন করা হয়েছে পরীক্ষার সময় বণ্টন, থাকছে না বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যে বিরতি। অর্থাৎ আগামী বছর থেকেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় দুই ঘণ্টা ২০ মিনিটে সাতটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। এতদিন যেখানে দুই ঘণ্টা ১০ মিনিটে ছয়টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেয়া নিয়েই ছিল আপত্তি।
এখন আবার প্রশ্নের সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও সময় না বাড়ানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। এর আগে ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে তারা আন্দোলনের ডাক দেয়। গতকালের কর্মসূচিতে নগরীর ৩৬টি কলেজ ও ৭টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক সাউথ এশিয়ান কলেজের শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম সোহাগ। তিনি জানান, ক্লাস শেষ করে তারা রাস্তায় নেমেছেন। আগের নিয়ম বহাল না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান। তাদের আশঙ্কা নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিলে তাদের ফলাফল খারাপ হবে। সরকার তাদের ওপর অন্যায় সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেয় নগর ছাত্রলীগ। নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, এসব শিক্ষার্থী প্রথম সাময়িক পরীক্ষা ও প্রিটেস্ট পরীক্ষায়ও প্রতিটি বিষয়ে ছয়টি করে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। কিন্তু টেস্ট পরীক্ষার এক মাস আগে হঠাৎ করে নতুন নিয়ম চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে পরীক্ষাভীতি ঢুকিয়ে দেয়ার কারণটা কী? এই আন্দোলন মেধাবী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। আমরা শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক আন্দোলনে পাশে আছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন