এবার কোরবনির হাট কাঁপাবে ক্যানাডার ‘সুলতান’। হাট কাঁপানো ষাঁড়টি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবের ইউনিয়নের রাণীগাঁও গ্রামের খামারি ডা. রহুল আমীন লালন-পালন করেছেন। সাড়ে তিন বছরের ষাঁড়ের ওজন ৪২ মন। অত্যন্ত আদরের ষাঁড়ের নাম রেখেছেন, ‘সুলতান’। এটাই শেরপুর জেলার অন্যতম এবং আকর্ষণীয় কোরবনীর পশু।
ইতোমধ্যেই তার বাড়িতে ভিড় বাড়ছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের। খামারি ডা. রহুল আমীনের দাবি শেরপুর জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ওজনের ষাড় ‘সুলতান’। ক্যানাডিয়ান প্রজাতির ৪২ মন ওজনের ষাঁড় পালন করে বিরাট চমক দেখিয়েছেন তিনি। ’সুলতান’ ১০ ফুট লম্বা, উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা। খামারি ডা. রহুল আমীন এই প্রতিবেদককে জানান- ‘সুলতানকে’ প্রতিদিন খড় ও ঘাস ছাড়াও খৈল-ভ‚ষি, ভাতের মার খুদিসহ ১০ কেজি খাবার দিতে হয়। সারাক্ষণ বাতাসের মাঝে রাখতে হয়। ন্যায্য মূল্য পেলে সুলতানকে বিক্রি করে দেবেন। তবে আলোচনা সাপেক্ষে দাম কম-বেশি হতে পারে।
এই করোনাকালীন লকডাউনে হাটে ‘সুলতানকে’ বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন খামারি ডা. রহুল আমীন। তিনি আরো জানান, সুলতানের পেছনে তার প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তা ছাড়া সুলতানের নিরাপত্তা দিতে ও এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতো বড় ষাঁড় ট্রাকে বা অন্য কোনো যানবাহনে নেয়া ও কঠিন। করোনার কারণে হাট-বাজারে তোলা না গেলে বিরাট বিপদে পড়ে যাব। তাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা যদি সুলতানকে বিক্রির ব্যাপারে সহযোগিতা করতেন তাহলে উপকার হতো। এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই জানান- জেলার খামারিদের জন্য অনলাইনে গরু বেচাকেনার পথ খোলা আছে। সেই ব্যবস্থায় পশুর ভিডিও এবং ছবি পোস্ট করে অত্যন্ত সহজেই পশু বিক্রি করতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন