শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কোরবানীর গরু ছাগলের অভাব নেই সিলেটে : শংকা কেবল লকডাউন পরিস্থিতি

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২১, ৭:৫৮ পিএম

গরু ও ছাগলের কোনো অভাব নেই সিলেটে। চাহিদার চেয়েও রয়েছে বেশি গরু ও ছাগল। ফলে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় কোরবানির পশু নিয়ে কোনো সংকট নেই সিলেটে। সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেট বিভাগে কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। কিন্তু এ বছর কোরবানিযোগ্য গরু ও ছাগল আছে প্রায় পৌনে ৬ লাখ। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আর লকডাউন ঘিরে গরু ছাগলের মালিকরা আছেন শঙ্কায়। পরিস্থিতি একইরকম থাকলে বিক্রির পরিমাণ কম হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বিভাগে বর্তমানে খামারি আছেন প্রায় ১৩ হাজার। তাদের কাছে কোরবানি দেওয়ার মতো গরু ও ছাগল আছে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার। এছাড়া গৃহপালিত গরু-ছাগল আছে আরও প্রায় ৪ লাখ। সবিমিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ ৭৫ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু আছে বিভাগের চার জেলায়। তন্মধ্যে সিলেট ১ লাখ ৯২ হাজার ২৫৮টি, সুনামগঞ্জে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫টি, মৌলভীবাজারে ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৯৩টি ও ৯৯ হাজার ২৪৪টি গরু-ছাগল আছে হবিগঞ্জে। এছাড়া সিলেটের বাইরে থেকে অনেক ব্যবসায়ীই গরু, ছাগল নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। ফলে কোরবানির গরু-ছাগল নিয়ে সংকটের কোনো কারণ দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সিলেটজুড়ে কোরবানির গরু-ছাগলের চাহিদা আছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। এর মধ্যে সিলেট ১ লাখ ৭২ হাজার, সুনামগঞ্জে ৬৮ হাজার, মৌলভীবাজারে ১ লাখ ৮ হাজার ও ১ লাখ ২ হাজার গরু-ছাগলের চাহিদা রয়েছে হবিগঞ্জে। মূলত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাভজনক হয়ে ওঠেছে গরু-ছাগল পালন। চাহিদা ও দামবৃদ্ধির কারণে অনেকেই এখন ঝুঁকছেন খামার ব্যবসায় । ফলে গরু ও ছাগলের সংখ্যা বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রস্তুম আলী বলেন, ‘সিলেটজুড়ে গরু ও ছাগল রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। কোনো সংকট হওয়ার কথা না। বিভাগে পশু আছে প্রায় পৌনে ৬ লাখ। এর বাইরে ব্যবসায়ীরা পাবনা, লালমনিরহাট, নাটোর থেকেও নিয়ে আসেন গরু।’ এদিকে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে খামারি ও গৃহস্থরা রয়েছেন শঙ্কার মধ্যে। লকডাউন বাড়ে কিনা, হাটে বিধিনিষেধ কেমন থাকে, মানুষের সমাগম হবে কিনা, এসব নিয়ে চিন্তিত তারা। তিনি আরো বলেন, ‘খামারি বা প্রান্তিক গৃহস্থ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সেজন্য পশু বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে অনলাইনে। প্রতিটি উপজেলায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খামারিদের নাম-নাম্বার সহ গরু-ছাগলের ছবি অনলাইনে প্রকাশ করছেন তাদের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন