কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৌর এলাকার বীরচন্দ্রনগর ভিারতের সীমান্ত এলাকায় বেলাল হোসেন নামে বাংলাদেশি এক যুবকের ঝুলন্ত উদ্ধার শেষে লাশ নিয়ে গেল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে পতাকা বৈঠক হলেও বিজিবি লাশ গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় লাশ নিয়ে যায় ভারতীয় বাহিনী।
গতকাল রোববার সীমান্ত এলাকা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীরচন্দ্রনগর সীমান্ত পিলার থেকে ৪০ গজ ভেতরে ভারত সীমান্তের বিলোনিয়ার রাঙ্গামুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বেলাল হোসেন উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের মতিয়াতলী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা ১০ বিজিবির আমানগন্ডা সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর হোসেন এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
স্থানীয় ও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল রোববার সকালে ভারতীয় সীমান্তে বেলালের গলায় লুঙ্গি দিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী লাশ উদ্ধারে আসেন ঘটনাস্থলে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন নিহত বেলাল বাংলাদেশি যুবক। পরবর্তীতে এ নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফ মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে পতাকা বৈঠক চলে। ভারতীয় সীমান্তে ঘটনা স্থল হওয়ায় লাশ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি বিজিবি।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) উগ্যজাই মারমা জানান, লাশে খবর পেয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রথমে বিএসএফ লাশ বিজিবিকে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া লাশ গ্রহণে আপত্তি জানান বিজিবি। পরবর্তীতে পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারতীয় পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যান।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, বেলাল হোসেন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, তার বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানাতে একাধিক মামলা রয়েছে। গত সপ্তাহে মাদক মামলায় কারাগার থেকে বের হয়। আইনী প্রক্রিয়া শেষ হলে বাংলাদেশ পুলিশ লাশ গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন