ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ১২টি বিমান। এসব পরিত্যক্ত বিমানের কারণে কার্গোর মাল ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে। তাই জায়গা খালি করতে এবার বিমানগুলো নিলামে তুলবে বেবিচক। আর নিলামে কাক্সিক্ষত মূল্য না পেলে কেজি দরে বিক্রির কথাও জানায় সংস্থাটি।
আজ সোমবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, ইতোমধ্যে নিলামের প্রক্রিয়া ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন নিলাম আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পালা। তবে, কেউ যদি নিলামে বিমানগুলো কিনতে আগ্রহী না হয় তাহলে ভাঙারি হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হবে। শিগগিরই সে সংক্রান্ত কর্মপদ্ধতির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজের অংশ হিসেবে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ চলছে। ফলে বিমানবন্দরের স্থান সংকটে এসব উড়োজাহাজ সরানো ছাড়া কোন উপায় নেই। যার অংশ হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বর্তমানে বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮টি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি করে বিমান দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। এর মধ্যে ১০টি বিমানই ৮ বছর ধরে কার্গো ভিলেজের জায়গা দখল করে আছে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ-উল আহসান সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই বিমানগুলো দীর্ঘদিন ধরে কার্গোর জায়গা দখল করে বেবিচকের রাজস্ব আদায়ের অন্যান্য পথ বন্ধ করে রেখেছে। অন্যদিকে তাদের কাছে পাওনা টাকাও পরিশোধ করছে না। তাই কার্গোর আয় বাড়াতে বিমানগুলো নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এয়ারলাইন্সগুলোকে বেশ কয়েকবার অর্থ পরিশোধ করতে অথবা বিমানগুলো সরিয়ে নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেয়নি। তাই সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী বিমানগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিলাম করা হবে বলেও জানান তৌহিদ-উল আহসান।
িেবচকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তারা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ থেকে ১৯০ কোটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স থেকে ৩৬০ কোটি এবং রিজেন্ট থেকে ২০০ কোটি টাকা পাবে। এই টাকা আদায়ের জন্য তারা প্লেনগুলো নিলামে তুলতে চায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন