গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রহমান রকিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত রোববার রাতে পৌরসভার পূর্বপাড়ার হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরী সংলগ্ন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রকি ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার মৃত ছইদার রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আশিকুর রহমান রকি রাতে শহরের পুরাতন বাজার এলাকার ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে সোহেল ও প্লাবনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শহরের পূর্বপাড়ার হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরী সংলগ্ন রাস্তার মোড়ে পৌঁছলে পূর্ব থেকেই ওৎ পেতে থাকা পূর্বপাড়ার নবাব আলীর ছেলে কাঞ্চন ও তার সহযোগীরা রকির উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় অপর তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আব্দুল মমিন মাস্টার গুরুতর আহত হয়। রকির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় রকিকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহফুজুর রহমান জানান, নিহত রকির বড় ভাই আতিকুর রহমান সরকার গতকাল সোমবার বাদি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় কাঞ্চনকে প্রধান আসামি এবং ৩ জনের নামসহ আরও অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আসিফ সরকার জানান, গত দুই মাস আগে পূর্বপাড়া এলাকার নবাব আলীর ছেলে কাঞ্চনের সাথে রকির মোটরসাইকেলের হর্ণ বাজানো নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে কাঞ্চন তার দলবলসহ রকির উপর হামলা চালায়। ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, হত্যাকারী কাঞ্চন ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকৃত কারণসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন