আসন্ন ঈদুল আযহার জামাত মসজিদে, ঈদগাহ অথবা খোলা জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে তা’ নির্ধারণ করবে স্থানীয় প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আযহার জামাত মসজিদ, ঈদগাহ না খোলা জায়গায় আয়োজন করা হবে তা জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে স্থানীয় প্রশাসন নির্ধারণ করবে।
চলমান বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঈদুল আযহার নামাজের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলাতে নিষেধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আগামী ২১ জুলাই বুধবার দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। ঈদের দিন দু-রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা। ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ঈদের জামাত আদায়ে ১২টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কতিপয় বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শর্তসাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজের জামাত আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন