করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ৩০ জুন থেকে সারাদেশে রেলওয়ের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ সাত দিনের জন্য শিথিল করেছে। এ অবস্থায় বুধবার মধ্যরাত থেকে অর্ধেক আসন খালি রেখে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে আন্তঃনগর ও মেইল কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে যে সব আন্ত:নগর ট্রেন চলবে সেগুলো হলো, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি/তূর্ণ ও মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি রুটে যমুনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, সিলেট-ঢাকা-সিলেট রুটে জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস।
ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন রুটে একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রূপসা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ভাঙা রুটে মধুমতি এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢালারচর রুটে ঢালারচর এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোবরা রুটে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন-রাজশাহী রুটে বাংলাবান্দা এক্সপ্রেস এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন-ঢাকা রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
অপরদিকে মেইল ট্রেন চলবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল ও কর্ণফুলী কমিউটার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে সাগরিকা কমিউটার, ঢাকা-জারিয়া ঝাঞ্জাই রুটে বলাকা কমিউটার, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে জামালপুর কমিউটার, ঢাকা-সিলেট রুটে সুরমা মেইল, ঢাকা-আখাউড়া রুটে তিতাস কমিউটার, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, চট্টগ্রাম-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব রুটে ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মহুয়া কমিউটার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ঢাকা কমিউটার, খুলনা-চিলাহাটি রুটে রকেট মেইল, খুলনা-রহনপুর-খুলনা-গোয়ালশ রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে পদ্মরাগ, পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে উত্তরা এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট-বিরল রুটে বিরল কমিউটার, লালমনিরহাট-সান্তাহার-বগুড়া কমিউটার এবং বোনারপাড়া-সান্তাহার কলেজ ট্রেন।
রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব ও পশ্চিম) বরাবরে পাঠানো এক চিঠিতে রেলওয়ের উপ-পরিচালক (অপারেশনস) মো. রেজাউল হক বেশ কিছু নিয়ম মেনে ট্রেন চলাচলের কথা উল্লেখ করেছেন। নিয়মগুলো হচ্ছে— যাত্রার দিনসহ ৫ দিন আগে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট একসঙ্গে অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। কাউন্টার থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে না। অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রীত টিকিট রিফান্ড করা যাবে না বা ফেরত নেওয়া হবে না। আন্তঃনগর ট্রেনে সব ধরনের স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণ ক্ষমতার শতকরা ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করতে হবে। রাত্রীকালীন ট্রেনে বেডিং সরবরাহে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জারিকৃত সব বিধিনিষেধ পালন নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, প্যাকেটজাত খাবার (চিপস, বিস্কিট ইত্যাদি) সরবরাহ করা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন