মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শিথিল লকডাউনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি

বিধিনিষেধ নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন এই কয়দিন সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে : অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ অনলাইনে গরু কেনাবেচায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে : অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেলটা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে একই চিত্র। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকালও মারা গেছে ২০৩ জন। সীমিত পরিসরে নমুনা পরীক্ষায় ১২ হাজার ১৯৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। এর মধ্যেই বছর ঘুরে এসেছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এই ঈদে পশু কোরবানি দেয়া হয়। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে পশু কোরবানি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই দেয়া হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার করোনার ভয়াবহ প্রকোপের মধ্যেই ২৩ শর্তে আরোপিত লকডাউন (বিধিনিষেধ) শিথিল করেছে। গতকাল এক প্রজ্ঞাপনে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ৮ দিন বিধিনিষেধ শিথিল করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে ওই প্রজ্ঞাপনে ঈদের পর আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ে এবং রাজধানী থেকে গ্রামে যাতায়াতে স্বাস্থ্যবিধি মানায় শিথিলতা দিয়ে ভয়াবহ বিপদে পড়তে হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে লকডাউন শিথিলের সুযোগ মানুষ যদি বেখেয়ালি চলাফেরা করেন তাহলে ভারতের কুম্ভমেলার পর যে পরিণতি হয়েছিল বাংলাদেশে তেমনই হতে পারে। কাজেই লকডাউন শিথিলের মধ্যে সুনাগরিক হিসেবে প্রত্যেককে নিজ নিজ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঈদ উপলক্ষে শিথিল লকডাউনে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। পশুর হাট, পথে চলাফেরা, ফেরিতে পারাপার ইত্যাদিতে যাতে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেন, মুখে মাস্ক পরেন সে লক্ষ্যে প্রচারণা চালাতে হবে। এ জন্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পশুর হাটে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ এবং পোস্টারিং করতে পারে। প্রিন্ট মিডিয়া, টেলিভিশনসহ গণমাধ্যমে প্রচারণা, বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে। জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হলে চলবে না। আমাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চললেই এ ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হবে। ঈদুল আজহা মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব। এটাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। শিথিল লকডাইনে ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার, গণপরিবহন এড়িয়ে চলা, পশুর হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঈদের কারণে বিধিনিষেধ শিথিলে মানুষ বেপরোয়া হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।

কোরবানির পশু বিক্রির জন্য রাজধানী ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ২১ হাট ইরাজা দিয়েছে। এ ছাড়াও সারাদেশে কোরবানির পশু কেনাবেচার লক্ষ্যে হাট চালুর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পশুর হাট বসাতে ৪৬ শর্ত দেয়া হয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য দেয়া হয়েছে ১৯টি শর্ত। শর্তগুলো যাতে হাটের ইজারাদার ও ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে পালন করেন সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। ঈদ উপলক্ষে শিথিল লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে মানুষকে বাধ্য করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল বাড়াতে হবে। অতীতের অভিজ্ঞতা বলে সেনাবাহিনী মাঠে টহলে থাকলে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য হয়। রাজধানী ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ার সময় মানুষ যেন স্বাস্থ্যবিধি মানেন সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি করতে হবে। গণপরিবহনে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রী উঠানো হয় সেটার নজরদারি বাড়াতে হবে। ঈদ উপলক্ষে শিথিল লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি পালনে শিথিলতার অর্থই হলো নিজের জীবনকে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ঠেলে দেয়া। হাটে পশু ক্রেতা-বিক্রেতাকে সচেতন করতে প্রয়োজনে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিটি পশুর হাটে মাইকিং করতে পারে; লিফলেট বিতরণ এবং ক্রেতা-বিক্রেতাকে সচেতন করতে পোস্টারিং করতে পারে। প্রিন্ট মিডিয়া, টেলিভিশনসহ গণমাধ্যমে প্রচারণা, বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে। সড়কপথে এবং বিভিন্ন ফেরিঘাটেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যানবাহনে যাত্রী উঠানোয় বাধ্য করতে প্রচারণা চালানো যেতে পারে।

জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস তো মানুষের ভাষা, আবেগ বোঝে না। ভারতে কুম্ভমেলা, দিওয়ালি ও জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছিল, তা বিশ্ব দেখেছে। বাংলাদেশে যদি করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঢিলেঢালা ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশেও ভারতের মতো অবস্থা হবে। ঈদের সময়টাতে হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মানুষকে দুইভাবে হত্যা করা যায়। একটি সরাসরি হত্যা করা, আরেকটি মৃত্যু হয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করা। ঈদ উপলক্ষে গ্রামে যাতায়াত ও পশু ক্রয়-বিক্রয় কর্মকাণ্ডে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার পরিবেশ যেন তৈরি না করি। করোনাকালে বেখেয়ালি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ-পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আজ ১৪ জুলাই মধ্য রাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আগে আরোপিত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। তবে প্রজ্ঞাপনে এ সময় সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্ক অবস্থায় থাকা এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করার কথাও বলা হয়েছে।

একই প্রজ্ঞাপনে পরের ১৪ দিন ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার কথাও বলা হয়েছে। ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ চলাকালে আগের মতোই সব ধরনের সড়ক, রেল ও নৌপথসহ সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে শপিংমল বা মার্কেটসহ সকল দোকানপাটও বন্ধ থাকবে।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সময়ে পোশাক (গার্মেন্টস) কারখানা খোলা রয়েছে। তবে ঈদের পর ২৩ জুলাই বিধিনিষেধ কার্যকরের পর পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্প কারখানাই বন্ধ থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা থেকে মুক্তি পেতে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। মাস্ক পরতেই হবে। মাস্ক পরা থাকলে সংক্রমণ কম হবে। তবে গরুর হাটে যাওয়া যাবে না। মানুষকে অনলাইনে গরু কেনাকাটা করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কোরবানি দেয়ার জন্য জড়ো হওয়া যাবে না। আরো ৭ দিন আমরা যদি নিজেদের ঘরবন্দি করে রাখতে পারি, তাহলে হয়তো সংক্রমণ কমে আসবে। তিনি আরো বলেন, সড়কে মানুষের অহেতুক চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও চেকপোস্টে তল্লাশি চলে আসছে। গত দু’দিনে এই তল্লাশিওতেও দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব। মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানতে দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে গণপরিবহন ও শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হয়ে যেতে পারে। অতএব সতর্ক থাকতে হবে।

২৩ জুলাই থেকে ২৩ শর্ত : ১. সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ। ২. সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ। ৩. শপিংমল/মার্কেটসহ সকল দোকানপাট বন্ধ। ৪. সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ। ৫. সকল প্রকার শিল্প-কলকারখানা বন্ধ। ৬. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ। ৭. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি। ৮. ব্যাংকিং/বীমা/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি। ৯. সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাফতরিক কাজসমূহ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন। ১০. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা চলবে। ১১. বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। ১২. জরুরি পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক/লরি/কাভার্ড ভ্যান/নৌযান/পণ্যবাহী রেল/ফেরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। ১৩. বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল) এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। ১৪. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। ১৫. অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। ১৬. টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে। ১৭. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে। ১৮. আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে। ১৯. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদে নামাজের বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা প্রদান করবে। ২০. ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। ২১. জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি/কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন। ২২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। ২৩. ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ এর আওতায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন।

জানতে চাইলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, ১২ দিন হলো কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এর মধ্যে মৃত্যু কিংবা সংক্রমণ কোনোটিই কমানো যায়নি। তারপরও যদি বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়, তাহলে এখন যে বিধিনিষেধ চলছে তার সুফলও পাওয়া যাবে না। এই যে ১৪ দিনের বিধিনিষেধের পর ঈদ সামনে রেখে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো, এই কয়েক দিনে যে সংক্রমণ ছড়াবে তা পরে আবার কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে মোকাবিলা করা যাবে না। অতএব নাগরিকদের নিজেদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিজেদের গ্রহণ করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
কামরুল ইসলাম ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:৫১ এএম says : 0
· মানে ১৫ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত করোনা ঈদ করতে শ্বশুর বাড়ি যাবে। ঈদ শেষ হবার পর আবার ফিরে আসবে। তারমানে লকডাউন করোনা উপদ্রব কমানোর জন্য দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে আর্থিক অনটনের কারণে যাতে নিম্ন আয়ের মানুষও কুরবানি'তে শরীক হতে পারে। করোনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের এমন ধান্ধাবাজি এদেশের মানুষও একদিন বুঝবে। তখন বড্ড দেরি হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
Ekra Rexona ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:৫১ এএম says : 0
মাস্ক পড়া বাধ্যতা করা দ্রুত সবার জন্য টিকার ব্যবস্তা করা। লকডাউনে কাজ হবে না ১৪ দিন কঠোর ছিল তবু করোনা রোগি ও মৃত্যু বাড়ছে।
Total Reply(0)
Md Moaj Hossain Emon ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 1
এইরকম শিথিল করে লাভ নাই। মানুষ গ্রামে যেয়ে কুরবানী দিবে কিন্তু আসবে কিভাবে? সাধারণ মানুষের ভোগান্তির জন্য এইটা করা হইছে, ফাইজলামি ছাড়া কিছুই না।
Total Reply(0)
মোঃ নুরুজ্জামান ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 1
বাংলাদেশ সর্বদাই অতিথি পরায়ণ দেশ ছিলো এবং থাকবে। কেননা বিদেশী অতিথি করোনা ভাইরাসকেও ঈদের ছুটি দিয়েছে। ১৫-২৩ তারিখ পর্যন্ত সে শুধু দাওয়াত খাবে, ঘুরবে ফিরবে। এবার দেখা যাক করোনা কতটুকু দাওয়াত রক্ষা করে
Total Reply(0)
Aunggon Sing Hon ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 1
না রে ভাই, নভেল করোনা ভাইরাস 15 তারিখ থেকে 23তারিখ পযর্ন্ত নিজ দেশে চীনের উহান শহরে যাবে ঈদের ছুটিতে। এবং 24 তারিখে নভেল করোনা ভাইরাস স্বপরিবারে বাংলাদেশে সরকারি কর্মস্থলে যোগ দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন।
Total Reply(0)
মুহাম্মাদ আবিদুর রহমান ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 1
কয়জনের টাকা আছে যে বাজার করে ঈদ করবে! এভাবে স্থানান্তরিত হয়ে নিজের পরিবারকে ঝুঁকিতে ফেলবে আর গাট্টি বস্তা নিয়া আবার ২ দিন পর দৌড়াদৌড়ি শুরু করবে।এর থেকে উচিত ছিলো যাতায়াতের টাকা দিয়া আরো কয়দিন খেতে পারা
Total Reply(0)
Faisal Mahmud ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 1
এজন্য তো মানুষ লকডাউনকে আর বিশ্বাস করেনা।করোনাকেও বিশ্বাস না করার মত অবস্থা দেশে চলিতেছে।
Total Reply(0)
MD Hedayet Hossen ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 1
কিছুদিন নিশ্চিন্তে থাকা যাবে করোনা ভাইরাস অনেকদিন পরে ছুটি পেল নিজ দেশ চীনের গিয়ে নিশ্চিন্তে ঈদ পালন করতে পারবেন।
Total Reply(0)
Robi Ullah ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 1
শিল্প কারখানা মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ কেননা যতক্ষণ পর্যন্ত শিল্প কারখানা মালিক পক্ষ ঘোষণা না দিচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত শিল্প কারখানা খোলা থাকবে।
Total Reply(0)
Snigdha Shishir ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৪ এএম says : 0
এই কাজটাই গতবছরের করা উচিত ছিল, এই বছরে রোজার ঈদে করা উচিত ছিল। সরকারের সবকিছু বুঝতে একটু দেরি হয় এই আর কি।
Total Reply(0)
মোঃ মাখদুম ১৪ জুলাই, ২০২১, ৮:২৩ এএম says : 0
১৫তারিখ মানুষের যাতায়াতের সুযোগ িদলো ২২ তারিখ পর্যন্ত । মানেহলো যারা আক্রান্ত হয় নাই তাদেরকে আক্রান্ত করা।যারা ঈদের পরে ফিরবে তারা কর্মস্হলে আসতে যেভাবে আসার সেভাবে কেউ আসবে গাড়িতে সিটে বসে কেউ দাঁড়িয়ে কেউ ঝুলে যেখানে পারাখার যায়গা পাবেনা সেখানে ঠাসাঠাসি করে হলেও। যদি ঈদের পরে এক সপ্তাহ শিথিলতা বাড়িয়ে দেয়া হয় তবে একটু হলেও সংক্রমণের ঝুকি কমবে, তাই আমি মন করি ঈদের পর একসপ্তাহ সিথিল থাকাই যুক্তিযুক্ত।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন