মালয়েশিয়ার কেলাং বান্ডামারা এলাকায় করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী মো. দেলোয়ার হোসেন (দেলু) মারা গেছে। কঠোর পরিশ্রমী দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘ ৬ বছর যাবত মালয়েশিয়ায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মৃত দেলোয়ার হোসেন দেলুর গ্রামের বাড়ী মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার কাননীসার গ্রামে। সে মৃত আব্দুল শেখের তৃতীয় ছেলে। গতকাল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে তন্তর গ্রামের প্রবাসী সুপারভাইজার আল আমিন ও ঝুলদি গ্রামের হাবিবুর দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়ি কাননীসারে পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম। স্ত্রী সুমী , মা জয়নব বেগম দেলোয়ারের শোকে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। দুই জমজ মেয়ে শাহারা ও শিনতিয়া পিতার মৃত্যুতে সারাক্ষণ কান্না-কাটি করে দিন কাটাচ্ছে। অসুস্থ্য স্ত্রী সুমী এ প্রতিবেদককে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, দেলোয়ার অনেক ভালো মানুষ ছিল। গ্রামে ওর কোনো বদনাম নেই। আল্লাহ কেন যেনো ওকে করোনায় মৃত্যু দিয়ে নিয়ে গেলো।
সুমী বলেন, আমরা সবাই এক নজর ওর (দেলোয়ার হোসেন) লাশটা দেখতে চাই। আপনারা একটু সহযোগিতা করেন দেলোয়ারের লাশ দেশে পাঠাতে। আজ শুক্রবার বিকেলে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে প্রবাসী হাবিবুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজ শুক্রবার রাত ১০ টায় জানা যাবে দেলোয়ারের লাশ দেশে পাঠানো সম্ভব হবে কিনা। না স্থানীয়ভাবে তার লাশ দাফন করা হবে।
ঝুলদি গ্রামের প্রবাসী হাবিবুর দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমাদের জানা মতে করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যায় তাদের লাশ এ দেশেই দাফন করা হয়ে থাকে। আজ শুক্রবার কুয়ালালামপুর থেকে তন্তর গ্রামের মৃত সাবেক আর্মি মো. নূরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন ইনকিলাবকে বলেন, করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ দেশে পাঠায় না। আর পাঠালেও বাংলাদেশ সরকার এ লাশ গ্রহণ করবে না। মৃত দেলোয়ারের কোম্পানীই লাশ দাফনের জায়গা কিনে তার লাশ দাফনের ব্যবস্থা করবে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই এ ব্যাপারে যাবতীয় ব্যবস্থা করবে। আল আমিন বলেন, এখন দেলোয়ার হোসেনের লাশ নিয়ে হতাশার কিছু নেই। একমাত্র আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করতে হবে যেনো আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন