স্টাফ রিপোর্টার : বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের করা তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার রুল শুনানির সময় বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয় বলে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে বেসিক ব্যাংককে এক সপ্তাহ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। শুনানিতে রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন জেড আই খান পান্না ও ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ।
আদালতের দুদকের খুরশীদ আলম খানও বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কর্মকাÐ নিয়ে চালানো অনুসন্ধান প্রতিবেদনও একই সময়ের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আর্থিক কেলেঙ্কারি, নিয়োগ, পদোন্নতিতে দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয় ও বেসিক ব্যাংকের প্রতিবেদন নিয়ে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর ও পরিচালনা পর্ষদকে বাদ দিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুদকের করা মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নোয়াখালীর হারুনুর রশীদ রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ নভেম্বর রুল দেয়। রুলে দুদক চেয়ারম্যান, অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়, যার ওপর শুনানি শেষে আদেশ আসে।
২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ অনুমোদন করাতেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি সঙ্কটে পড়ে বলে অভিযোগ উঠে। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ১৫৬ জনকে আসামি করে মোট ৫৬টি মামলা করে দুদক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন