সচেতন মানুষদের মধ্যে ছাদ বাগান ও ছাদ কৃষি নতুন কিছু নয়। তবে দেড় বছরের করোনাকালীন সময়ে বগুড়ায় এর ব্যাপক প্রসার লক্ষ্য করা গেছে। বাড়ছে ছাদ বাগান ও ছাদ কৃষির আগ্রহ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বগুড়ার শত শত বাড়িতে এখন ছাদ বাগানে শুধু ফুল বা অর্কিড নয় রীতিমত আম, জাম, পেয়ারা, কতবেল, বরই, ডালিমসহ প্রায় সব ধরনের ফলের গাছ লাগানো হচ্ছে। এমনকি অনেক বাড়ির ছাদ বাগানে আরবি খেজুর ও দুর্লভ তিন ফলেরও সমারোহ দেখা গেছে ।
বগুড়ার জলেশ্বরীতলা এলাকার বাসিন্দা এ্যাড. মারুফ রাজা জানিয়েছেন, তিনি আগে থেকেই তার বাড়ির ছাদ বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও অর্কিড লাগিয়েছিলেন শুধু মানসিক প্রশান্তির জন্য। তবে করেনার সময় লকডাউন শুরু হলে তিনি ছাদ বাগানের একাংশে পুঁইশাক, সিম, মরিচ, লাউের চারা এনে লাগান। মোটামুটি তিন মাসের যত্নে তিনি ভালো ফলও পেয়েছেন। মারুফ রাজা জানান, তার বাগানের শাক সবজি উত্তোলন ও ব্যবহারের ছবি পোস্ট করায় অনেকেই উৎসাহী হয়ে তাঁর কাছে পরামর্শ নিয়ে এখন এ কাজে শুরু করেছে। অনেকেই নিজ নিজ বাড়ির ছাদ বাগানে ফুল, ফল ও সবজি চাষের মাধ্যমে অবসর সময়ে বিনোদনের পথ খুঁজে পেয়েছে।
এদিকে ছাদ বাগান বা ছাদ কৃষিতে আগ্রহ লক্ষ্য করে বগুড়ার কিছু নার্সারিও ছাদ বাগান তৈরিতে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা করছে। অপরদিকে ছাদ বাগানের জন্য সার, মাটি, কাটা ড্রাম, কাঠের তৈরি টবও তৈরি হচ্ছে বাণিজ্যিক ভাবে।
একটি নার্সারি ছাদ বাগান ও ছাদ কৃষিতে মানুষকে উৎসাহিত করতে শহরের উপকন্ঠে শোরুম স্থাপন করেছে। তারা রীতিমত ছাদ বাগান তৈরিতে কন্ট্রাক্টে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য কর্মী প্রস্তুত করেছে। ফলে কর্মসংস্থানের জন্য সৃষ্টি হয়েছে নতুন একটি খাত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন