সিলেটে কোরবানির পশুর চামড়ার ৯০ শতাংশই বিক্রি হয়েছে। চামড়ার নিয়মিত ব্যবসায়ী এবং মৌসুমী ও বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ী মিলে এসব চামড়া করেছেন ক্রয়। বলে শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামিম আহমদ বলেন, সাড়ে চার লক্ষাধিক পশুর মধ্যে প্রায় দুই লক্ষাধিক পশুর চামড়া সরাসরি ক্রয় করেছেন ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী ও বাহির থেকে আসা ব্যবসায়ী মিলে প্রায় ৯০ শতাংশের উপর ক্রয় করেছেন পশুর চামড়া। বিক্রেতারা গত বছর বা এর আগের বছরের তুলনায় দামও ভালো পেয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে ঈদের আগে দামের দরপতন, ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া, লকডাউনের কারণে পরিবহণ সংকটের সম্ভাবনাসহ নানা কারণে চামড়া সংগ্রহ নিয়ে ব্যবসায়ীরা ছিলেন টানাপোড়নে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চামড়া ক্রয়ে এগিয়ে এসে সেই খাতে বিনিয়োগ করেন ব্যবসায়ীরা। তবে সিলেট শহর এবং শহরতলীর উপজেলাগুলো কিংবা জেলা শহর লাগোয়া উপজেলায় দাম তুলনামূলক ভালো থাকলেও প্রত্যন্ত উপজেলায় দাম পেয়েছেন কিছু কম বিক্রেতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শহরাঞ্চলে গরুর চামড়া আঁকার এবং মানের উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন দুইশত টাকা থেকে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে চামড়া কিনলেও লাভ নিয়ে এখনো অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে কিছু ব্যবসায়ীদের মধ্যে। দরপতন বা সিন্ডিকেট হলে বড় লগ্নী লোকসানের মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামিম আহমদ। সরকার থেকে যদি সহযোগিতা না থাকে বিপদ হবে তবে। তাছাড়া বিদেশি কোম্পানিগুলোর চাহিদা কিরকম হচ্ছে এসব কিছুর উপর নির্ভর করছে। তবে এবার চামড়ায় কোন সিন্ডিকেট যাতে না হয় বা ব্যবসায়ীদের লোকসান না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারি রয়েছে জানিয়ে সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ (অতিরিক্ত দায়িত্বে সিলেট বিভাগ) কর্মকর্তা রুস্তম আলী বলেন, প্রশাসন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি রয়েছে। তাই লোকসানের ঝুঁকি নেই। অপরদিকে, সিলেট বিভাগের চার জেলায় প্রায় সাড়ে চার লক্ষাধিক পশু কুরবানি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেটের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন