শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা মুকুন্দ’র

রাজধানীর কামরাঙ্গিরচরে জোড়া খুন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানীর কামরাঙ্গিরচরে মা-মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা ও মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো-ফুলবাশি রানী (৩৫) ও তার মেয়ে সুমি রানী (১১)। আটককৃতরা হলো-ফুলবাশির স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র দাস (৩৬) ও তার বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাস (১৪)। গতকাল শনিবার ভোরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতদের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার পর মুকুন্দ চন্দ্র চাড়পোকা মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ফুলবাশির স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র দাস ও তার বড় মেয়ে ঝুমাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঝুমাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার ভোরবেলা বড় মেয়ে সজাগ হয়ে তার বাবাকে ছোটবোন সুমির গলা চেপে ধরতে দেখে। এ সময় সে চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘরে এসে দেখে মা-মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহত দুইজনেরই গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র ছারপোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে বর্তমানে মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের ডিসি জসীম উদ্দিন মোল্লা বলেন, গতরাতে মা ও দুই মেয়ে খাটে ঘুমানো ছিল, আর গৃহকর্তা মুকুন্দ চন্দ্র মেঝেতে ঘুমিয়েছিলেন। ভোরের দিকে বড় মেয়ে একটা কিছু দেখেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিষয়টি বলা যাচ্ছে না। মুকুন্দ চন্দ্র দাস ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করতেন। মাঝে মাঝে তিনি ঠেলাগাড়িও চালাতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভোর রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধ করে ফুলবাশি ও মেয়ে সুমিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। সুরতহাল শেষে লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন