শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাজার একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোগ

প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:১৬ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মোহাম্মদ আবদুল গফুর : খবরটি খুব ছোট। কিন্তু প্রচুর সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হতে পারে যদি সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়। গত সোমবার দৈনিক ইনকিলাব-এ প্রকাশিত খবরটির প্রধান শিরোনাম ছিল : বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাজার চালুর উদ্যোগ। সংবাদ বিবরণীতে বলা হয় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাজার চালুর উদ্দেশ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে কক্সবাজারে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার ট্রেড জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা সোমবার সকালে কক্সবাজার সৈকতের একটি হোটেলে সীমান্ত বাজার চালু করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসবেন। রোববার বিকালে এ জন্যএকটি স্টিমারযোগে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২২ বছর যাবৎ বাংলাদেশের টেকনাফ এবং মিয়ানমারের মংডু শহরের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য চলে আসছে। এ সীমান্ত বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করতে দুই দেশের ভেতরে সীমান্ত বাজার বসানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। চেম্বার অব ইন্ডষ্ট্রীজের বৈঠকে ৯ সদস্যের মিয়ানমারের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের রাখাইন স্টেট চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান অং সং যান। আর ২০ সদস্যের বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন কক্সবাজারের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবু মোর্শেদ চৌধুরী। বৈঠকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন প্রধান অতিথি থাকবেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, এর আগেও দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আট দফা বৈঠক হয়েছিল। এসব বৈঠকে দুই দেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত বাজার বসানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা মংডু শহরে কয়েক দিনের জন্য সীমান্ত বাজার বসাবেন। এর উদ্দেশ্য মিয়ানমারে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টি করা। একইভাবে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা টেকনাফে এরকম বাজার বসাবেন। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার ট্রেড জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় উত্থাপিত টেকনাফের ব্যবসায়ীরা সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য মিয়ানমারের মংডুতে গিয়ে তিন দিন থাকতে পারেন। সেখানে অবস্থানের সময় পরের দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর বিষয়ে এবার আলোচনা হবে। এ ছাড়া ইয়াবা মাদকদ্রব্য চোরাচালানকে নিরুৎসাহিত করে সীমান্ত বাণিজ্যকে গতিশীল করার নানা উপায় বের করা নিয়ে আলোচনা করবেন ব্যবসায়ীরা।
টেকনাফ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, বাংলাদেশি সিমেন্ট, ওষুধ, অ্যালুমেনিয়াম সামগ্রী, কোমল পানীয় খাদ্যপণ্যের চাহিদা রয়েছে মিয়ানমার। জানা গেছে, দীর্ঘ ২১ বছর আগে টেকনাফ স্থলবন্দর চালু হলেও সমস্যা থেকে গেছে অনেক। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পণ্য বাছাই করতে মিয়ানমারে গেলে সঙ্গে মুঠোফোন ও ক্যামেরা নিতে পারেন না। মংডুর বাইরেও যেতে দেয়া হয় না তাদের। কিন্তু মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা টেকনাফে এসে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যেতে পারেন। তাদের ক্যামেরা ও মুঠোফোন ব্যবহারেও বাধা দেয়া হয় না। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এসব বিষয়ে সুরাহা দরকার।
আমরা জানতে পেরে খুশি হয়েছি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সীমান্ত বাজার চালুর লক্ষ্যে প্রস্তাবিত বৈঠক অবশেষে গত সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজারে একটি তারকা মানের হোটেলে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা সীমান্ত বাজার বসানো এবং সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ পর্যটন বিষয়ের আলোচনায় মতৈক্যে পৌঁছেন। এতে মিয়ানমারের ১৪ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধির নেতৃত্ব দেন রাখাইন স্টেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ চেয়ারম্যান টিন অং এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবু মোর্শেদ চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
সভা শেষে বেলা ৩টায় এক ব্রিফিংয়ে আবু মোর্শেদ চৌধুরী জানান, সভায় দুই দেশের চেম্বার নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্ত বাজার বসানো, সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং পর্যটনের বিষয়েও একমত হয়েছেন। বৈঠকে আলোচিত বিষয়াদি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিজ নিজ দেশের সরকারকে অবহিত করবে এবং আগামী নভেম্বরে মিয়ানমারে এ বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রেড জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল টেকনাফের সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউসে ২০১১ সালের ১ মে। দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপে ২০১১ সালের ৭ জুলাই। তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় কক্সাবাজারে লংবিচ হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ২০১১ সালের ২২ আগস্ট। এর পর চতুর্থ ও পঞ্চম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল যথাক্রমে মংডু টাউনশিপে ১৮ অক্টোবর (২০১১) ও কক্সবাজারে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ১৮ ডিসেম্বর (২০১১)। মিয়ানমারের আকিয়াবে ষষ্ঠ ও শেষ সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের ২৯ মে।
মিয়ানমারে বহুদিন সেনা শাসন চলায় অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির নেতৃেত্ব গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সে দেশের যঅভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের বাণিজ্য ও অন্যান্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও উন্নতির ব্যাপারে আমরা আশাবাদী হতে পারছি। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সমস্যা। রোহিঙ্গারা ধর্ম বিশ্বাসে মুসলিম হওয়ায় মিয়ানমারের এক শ্রেণীর উগ্রপন্থি নেতা তাদেরকে মিয়ানমার থেকে জোর করে উৎখাত করে মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে তাড়িয়ে দিতে চায়।
এ মনোভাব দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে মোটেই সৎপ্রতিবেশীত্বসুলভ সম্পর্ক গড়ে ওঠার জন্য সহায়ক নয়, বাস্তববাদী মনোভাবও নয়। পৃথিবীর সব দেশেই বিভিন্ন ধর্মের লোক পাশাপাশি বসবাস করে। বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমার যদি তাদের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে মুসলিম হওয়ার অপরাধে মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে ঠেলে দিতে চায় তাহলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেয়ার দাবি উঠতে পারে। এ ধরনের কথা কখনো বাংলাদেশ কল্পনাও করে না। বাংলাদেশ আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতিতে গভীরভাবে বিশ্বাসী দেশ হিসেবে পৃথিবীতে সুপরিচিত। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মবিশ্বাসে মুসলিম। আর ইসলামে ধর্মবিশ্বাস নিয়ে জোরজবরদস্তি নিষিদ্ধ। তা ছাড়া আমরা যদি অতীত ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই ইসলামের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সব সময়ই একটা সুসম্পর্ক ছিল। শুধু তাই নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশই একদা বৌদ্ধপ্রধান ছিল। উপমহাদেশের ইতিহাসের একপর্যায়ে হিন্দু কট্টর পুনরুজ্জীবনবাদী আন্দোলনের বৌদ্ধ-বিরোধী অভিযানের পরিণতিতেই এককালের বৌদ্ধপ্রধান উপমহাদেশে আজ বৌদ্ধ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৌদ্ধবিরোধী ওই অভিযানের নেতারা জনগনকে বৌদ্ধ নিধনে প্ররোচিত করতে এমন ঘোষণাও দেন যে, একজন বৌদ্ধকে দেখামাত্র যে হত্যা করবে, সে অনন্তকাল স্বর্গসুখের অধিকারী হবে। আর বৌদ্ধকে দেখা সত্ত্বেও যে তাকে হত্যা না করবে, তাকে চিরকাল নরক-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে।
এ নৃশংস অভিযানের পরিণতিতে বৌদ্ধরা তাদের আদি জন্মভূমি ভারত ছেড়ে উত্তরে চীন, তিব্বত, পূর্বে বার্মা, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, জাপান এবং দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি দেশে পালিয়ে যায়। অনেকটা এ সময়েই সপ্তম শতাব্দীতে এ দেশে আরব বণিকদের সাথে ইসলাম প্রচারকদের মাধ্যমে ইসলামের আগমন ঘটে। যেসব বৌদ্ধ পালাতে পারেনি তারা ইসলাম গ্রহণ করে আত্মরক্ষা করে। সে নিরিখে বলা যায়, আজকের বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অনেকেরই পূর্ব পুরুষ ছিল বৌদ্ধ। ইতিহাসের নিরিখে তাই মুসলমানদের বৌদ্ধবিরোধী ভূমিকা পালনের দৃষ্টান্ত পাওয়া ভার।
তাছাড়া আজ যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা ধরনের সংঘাতে লিপ্ত সেখানে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। শুধু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবেই নয়, সৎ প্রতিবেশী দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের সুনাম সর্বজন স্বীকৃত। বাংলাদেশের মাত্র দুটি প্রতিবেশী দেশ রয়েছে ভারত ও মিয়ানমার। অপেক্ষাকৃত বৃহত্তর প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের যে সব সময় সৎপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ লাভের সৌভাগ্য হয়েছে, এমনটা বলা যাবে না। তবুও বাংলাদেশ কখনো ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক বা প্রতিহিংসামূলক আচরণে প্রবৃত্ত হয়নি। প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের আন্তর্জাতিক অধিকার থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে গঙ্গার উজানে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র আমাদের ওপর যে জুলুম করেছে, তারপরও বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে কোনো শত্রুসুলভ আচরণে লিপ্ত হয়নি। এমনকি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক নিরীহ বাংলাদশি নাগরিক হত্যার ব্যাপারে ভারত ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও বাংলাদেশ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
একই ব্যাপার বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সম্পর্কে। মিয়ানমারের অন্যতম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বাংলাদেশি অপবাদ দিয়ে তাদেরকে তাদের জন্মভূমি থেকে উৎখাত করে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে সমস্যাজর্জরিত বাংলাদেশের জন্য নতুন সমস্যা সৃষ্টি করা মিয়ানমারের শাসকদের জন্য কতটা সঠিক হচ্ছে তা তাদেরই গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে। এ কাজটা শুরু হয়েছিল মিয়ানমারে সেনা শাসন থাকাকালে। পৃথিবীতে কোনো জুলুমবাজের জুলুমই যে চিরস্থায়ী হয় না তার প্রমাণ খোদ মিয়ানমার। যে মহাশক্তিশালী সেনাবাহিনী এই সেদিন পর্যন্ত দোর্দ- প্রতাপে দেশটি শাসন করেছে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে এক নিরস্ত্র নারী নেত্রীর কাছে আজ তারা পর্যুদস্ত। সেই নিরস্ত্র নারী নেত্রীই আজ মিয়ানমারের দুর্ধর্ষ সামরিক নেতৃবর্গসহ সমগ্র দেশটির ভাগ্যবিধাতা।
আসলে পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো ব্যক্তিই যে সার্বভৌম শক্তির অধিকারী নয়, সার্বভৌম শক্তির অধিকারী যে বিশ্ব¯্রষ্টা তার প্রমাণঃ যত শক্তিধরই হোন প্রতিটি মানুষেরই মৃত্যু আছে এবং প্রতিটি মানুষকেই এ পার্থিব জগতে তার প্রতিটি কৃতকর্মের জন্য মৃত্যু-পরবর্তীকালে স্রষ্টার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তাই এ পার্থিব জগতে জুলুমবাজি পরিহার করে ¯্রষ্টার বিধানের আলোকে নিজ নিজ দায়িত্ব সুবিচারের সাথে পালন করাই হবে সবার কর্তব্য। মিয়ানমারের নতুন কর্তৃত্বে যারা অধিষ্ঠিত হয়েছেন তারাও একদিন পৃথিবীতে থাকবেন না। যতদিন আছেন তারা রোহিঙ্গাসহ সকলের প্রতি তাদের দায়িত্ব যথাযথ গুরুত্বসহকারে পালন করে যান, এটাই কাম্য। সে বৃহৎ কাজের সূচনা যদি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত বাজার চালুর মতো ক্ষুদ্র ঘটনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়, মন্দ কি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন