শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইসিটি এন্ড ক্যারিয়ার

চীনা স্মার্টফোন শাওমির ম্যানুফেকচারিং প্রকল্প হচ্ছে পাকিস্তানে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২১, ১০:১০ পিএম

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন সংস্থা শাওমি আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে পাকিস্তানে তাদের ম্যানুফেকচারিং প্রকল্প স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি স্মার্টফোনগুলোকে লোকজনের কাছে আরও সহজলভ্য করে তুলতে চায় দেশটি। -এপিপি

চীন ইকোনমিক নেট (সিইএন) জানিয়েছে, বিশ্বের বিখ্যাত গবেষণা সংস্থা ক্যানালিসের মতে, শাওমি স্যামসাংয়ের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বিক্রেতা হয়ে উঠেছে। ক্যানালিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই চালানটি বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে এবং বিশ্বব্যাপী শেয়ারের ক্ষেত্রে তিন মাসে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি লাভ করছে। এই প্রবৃদ্ধির বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে, চীনভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট শীঘ্রই অ্যাপলকে টপকে স্যামসাংকে প্রথম অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবে এবং এই বছরের শেষের দিকে বা কিছু আগে বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন বিক্রেতা হয়ে উঠতে পারে।

ক্যানালিস জানিয়েছে,পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন বিক্রেতা হিসেবে কিউ ওয়ান ২০২১ ট্রান্সসিওনকে ১, ভিভোকে ২, স্যামসংকে ৩, ওপ্পোকে ৪ এবং জিয়াওমিকে ৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করেছে। প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা যায় যে, আরও বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা পাকিস্তানে ইতিমধ্যে তাদের বড় প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। এই ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে টেকনো, ইনফিনিক্স, জিভিভ এবং রিয়েলমি।

আরেকটি চীনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী রিয়েলমে লাহোরে স্মার্টফোন উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়ার পরেই এমন সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এর ফলে পাকিস্তানে উৎপাদিত ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন মডেল (সি ২১) এর বিশাল মূল্য হ্রাস পেয়েছে এবং যদি শাওমি পাকিস্তানে নিজস্ব সমাবেশ প্ল্যান্ট স্থাপনে সফল হয়, তবে কোম্পানির স্মার্টফোনের দাম কমার ক্ষেত্রে এ জাতীয় ফলাফল আশা করা যেতে পারে। রিয়েলমে এরই মধ্যে লাহোরে তার স্থানীয় অ্যাসেম্বলি লাইনের একটি পরীক্ষা চালিয়েছে, যার ফলে নতুন সি২১ এর মতো রিয়েলমে ফোনগুলোর দাম বেশ কমেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার রিয়েলমের বিপণন পরিচালক শেরি ডং এসব তথ্য দেন।

শাওমি এবং রিয়েলমি উভয়েরই লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তাদের স্থানীয় সমাবেশ প্লান্টগুলোতে স্মার্টফোন এবং অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জিনিস (এআইওটি) পণ্য উত্পাদন করা। সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য হ'ল উভয় সংস্থারই বৈশিষ্ট্য। পাকিস্তান যেহেতু একটি বৃহত্তর তরুণ জনসংখ্যার একটি উন্নয়নশীল দেশ, স্থানীয় মোবাইল সমাবেশ ইউনিট স্থাপনের ফলে ইতিবাচক আর্থ-সামাজিক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

লক্ষণীয়, ৪০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী সহ পাকিস্তান বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোনের ৭ম বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ। তাই স্থানীয় উত্পাদনের কারণে মোবাইল ফোন আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। স্মার্টফোনগুলোর স্থানীয় উত্পাদন সংস্থাকে ব্যাপক আমদানি শুল্ক প্রদান থেকে বাঁচিয়ে দেয়, যা বার্ষিক বাজেট ২০২১-২৬ এ ২৪০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Add
MOHAMMED MOZAMMEL HOQUE HOQUE ২৫ জুলাই, ২০২১, ১০:২৯ পিএম says : 0
GOOD NEWS
Total Reply(0)
Add
Munna ৭ আগস্ট, ২০২১, ৬:৫৭ পিএম says : 0
শাওমি তো বাংলাদেশেও ফ্যাক্টরি দিচ্ছে, একে এতো হাইলাইট করার কি আছে. নিউজ তাকে পিন করে দিয়েছেন, তোমরা চেঞ্জ হবেনা ?
Total Reply(1)
Add
Taher ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১:৩৪ পিএম says : 0
Very good news for a third world poor country like Pakistan

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ