সম্প্রতি দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের এই ফোনালাপটি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সেই অডিও ফোনালাপে এমন কিছু গালি রয়েছে, যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাসহ সবাই বিব্রত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
এদিকে প্রিন্সিপাল কামরুন নাহার ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপের অডিওকে ভিত্তিহীন ও ‘সুপার এডিটেড’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই ফোনালাপকে ইঙ্গিত করে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ ফেইসবুকে লিখেন, ‘অলিম্পিকে যদি স্লাং ব্যবহারের কোন ইভেন্ট থাকতো, তাহলে বাংলাদেশের বিখ্যাত স্কুলের প্রিন্সিপাল স্বর্ণপদক জয় করতে পারতো সন্দেহ নেই।’
লাইলী ইয়াসমিন লিখেন, ‘গুণে গুণে ২/৪ টা গালির শব্দ শিখেছি, তার একটাও এমন অশ্লীল না, তাতেই আমি কিনা পাওয়ার খিঁচে বেড়াই! হায়রে ভিকারুন্নেসার প্রিন্সিপাল! রাজনীতি করলে যদি এমন গালি দিতে জানতে হয়, তাকে মোটেও শিক্ষকতা পেশায় যাওয়া উচিত হয় নি। দেশের নামকরা একটা শিক্ষালয়! উহ! পুরো অডিওটা শুনে মাথা পাগল পাগল লাগছে! এতো ক্ষমতার উৎস কি রাজনীতি? গালিগুলো জেন্ডার সেন্সেটিভ হলেও কথা ছিল!’
নীরা হকের প্রশ্ন, ‘ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ তিনি। মোটামুটি গালির অভিধান মুখস্থ উনার। উনার কাছে থেকে আমাদের ছেলে মেয়েরা কি শিখবে? শিক্ষকদের এমন নৈতিক অধঃপতন হলে জাতি যাবে কার কাছে? কার সঙ্গে কি প্রসঙ্গে এমন গালাগালি করেছেন, তা আমাদের জানার দরকার নেই। কিন্তু একজন অধ্যক্ষ হয়ে আপনার মুখের ভাষা এমন কেন?’
এম আল মামুন লিখেন, ‘মমতাময়ী শিক্ষকের স্থানে যখন .............. বসানো হয়, তখন তার চরিত্র আর আলাপচারিতা কেমন হয়; যাদের জানার আগ্রহ ছিলো বা আছে, আজ তাদের জন্য ভিকারুননিসার প্রিন্সিপালের ফোনালাপ প্রকাশ করা হলো।’
উদ্বেগ প্রকাশ করে সাফফাত বিন শামিম লিখেন, ‘বুঝাই যাচ্ছে কামরুন নাহারের পিছনে বড় কোনো ক্ষমতা আছে। শিক্ষক এমন হলে শিক্ষা ব্যাবস্থা যে অন্ধকার গর্তে প্রবেশ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না!’
নোমান লিখেন, ‘ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ তিনি। গালি অভিধান মোটামুটি তার মুখস্থ। তিনি গুলি করতে পারেন, ব্যাগের মধ্যে পিস্তল নিয়া ঘুরে বেড়াতেন। শিক্ষার্থীরা তার কাছ থেকে ‘খুব ভালো’ শিক্ষা পাবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় এতদিন ভিসিরা নিয়োগ পেতেন, এখন স্কুলের অধ্যক্ষরাও পাচ্ছেন। শিক্ষাব্যবস্থা এগিয়ে যাচ্ছে বায়ুগতিতে!’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক মনে করছেন, তার এই ফোনালাপের কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষক সমাজ আজ কলঙ্কিত হয়েছে। তাই তারা কামরুন নাহারের পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন