চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার সংযোগস্থলে বড়উঠান ইউনিয়নের দক্ষিণ শাহমীরপুর গ্রামের শীতল ঝর্ণা খালের ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি যেন দুই উপজেলার মরণ ফাঁদে রূপ নিয়েছে। মাত্র ৭ মিটারের জরাজীর্ণ এই কালভার্টের মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। অনেক আগেই ভেঙে গেছে কালভার্টের দুই দিকের রেলিং। পাঁচ-ছয় ইঞ্চি দেবে গেছে মাঝখানের স্ল্যাব। সবমিলিযে যেকোন সময় এটি ভেঙে পড়ে ভয়াবহ ট্রাজেডি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানায়, ১৯৮৪ সালে নির্মিত এই কালভার্টেটি আনোয়ারা ও কর্নফুলী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। গত তিন বছর ধরে কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ মোটামুটিভাবে সবাই দুরাবস্থার কথা অবগত থাকলেও নতুন কালভার্ট হয়ে উঠে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শীতল ঝর্ণা খালের ছোট্ট কালভার্টটির দুদিকের দুটি রেলিং বছরখানেক আগেই ভেঙে পড়েছে। মাঝখানের টপস্ল্যাবটি পাঁচ-ছয় ইঞ্চি দেবে গেছে। মাঝখানে তৈরি হওয়া বড় গর্তে প্লেটসিট বসিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বদলপুরার বাসিন্দা সালাউদ্দীন সারো বলেন, যেকোন সময় ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি খালের মধ্যে ধসে পড়তে পারে। বিষয়টি ভূমিমন্ত্রীকে অবগত করা হলে তিনি শীঘ্রই সমাধান করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জানান, এ সড়ক দিয়ে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। সবাইকে আতঙ্ক নিয়ে শীতল ঝর্ণা খালের জীর্ণ ওই কালভার্টটি পার হতে হয়।
কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, শীতল ঝর্ণা খালের উপর ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা প্রকৌশলীসহ পরিদর্শন করেছি। নতুন কালভার্টের সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি ভেঙে খুব শীঘ্রই নতুন কালভার্ট স্থাপন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন