শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকার সুযোগ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২১, ৪:৪৬ পিএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্ব আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া যাবে।আর আগামী ৭ আগস্ট থেকে এ সুবিধা চালু হচ্ছে।

সভা শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এবার টিকা দেওয়ার বিষয়ে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে টিকা কেন্দ্র স্থাপন করছি। সেখান থেকে ইউনিয়নের সব লোকজন, যারা টিকা নিতে চায় বা প্রয়োজন, তারা ওখানে এসে টিকা নিতে পারবে। এই সুবিধা আমরা করে দিচ্ছি। তাদের যে আইডি কার্ড, তা নিয়ে এলে টিকা দিতে পারবে।কবে থেকে এ সুবিধা চালু হচ্ছে? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করছি।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ নেই, তাদেরও একটি বিশেষ ব্যবস্থায় নিবন্ধন করে টিকা দিয়ে দেওয়া হবে, স্পটেই। জানা যায়, করোনার টিকা দেওয়ার গতি বাড়াতে ৭ আগস্ট থেকে দেশে বিদ্যমান সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কার্যকর করা হবে। গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্য অস্থায়ী টিকাদানকেন্দ্রগুলোও কাজে লাগানো হবে। দিনে সাড়ে ৮ লাখ করে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

এদিকে সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম আরও জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কার্যক্রম যেন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে শুরু করা যায়, সেই নির্দেশনাও দেন তিনি। ওয়ার্ড পর্যায়ে যেসব বয়স্ক লোক আছেন, তাদের ভ্যাকসিনেশনের (টিকাদান) ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামের বয়স্ক রোগীরাই এখন বেশি হাসপাতালে আসছেন, এ সংখ্যা প্রায় ৭৫ শতাংশ। ঢাকা শহরেও তাই। তাদের মৃত্যুর হার বেশি, আক্রান্তের হারও ৯০ শতাংশ।

‘এ কারণে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলাপর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম আমরা দ্রুত শুরু করে দেব’— বলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের এপ্রিল নাগাদ দেশে আসবে ২১ কোটি ডোজ টিকা। চীনের সিনোফার্মের তিন কোটি ডোজ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ, কোভ্যাক্সের আওতায় সাত কোটি এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি ডোজ টিকা আনতে এরই মধ্যে চুক্তি শেষ হয়েছে।ডোজ টিকা আনতে এরই মধ্যে চুক্তি শেষ হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন