করোনা ভ্যাকসিন তৈরিকারি দুই মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও মর্ডানা তাদের চলমান ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। দেশটির প্রশাসনের আহ্বানে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩০ বছরের কম বয়সী টিকা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হৃদরোগ প্রদাহজনিত সমস্যাসহ বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সনাক্ত করার জন্য তৈরি একটি সতর্কতা ব্যবস্থার অংশ হিসাবে এই ট্রায়াল শুরু করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে ওহিওতে এক বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, শিশুদের ভ্যাকসিনগুলোর জন্য জরুরি ছাড়পত্র ‘শীঘ্রই’ আসবে। তবে হোয়াইট হাউস সময়রেখার বিষয়ে নির্দিষ্ট করে দেয়নি। তবে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনগুলো অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে ফাইজার ও মর্ডানার এই ট্রায়াল কোন প্রভাব ফেলবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মর্ডানাকে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তাদের শিশু বিশেষজ্ঞের পড়াশোনার আকার এবং সুযোগ, যেমনটি প্রাথমিকভাবে কল্পনা করা হয়েছিল, বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সনাক্ত করতে অপ্রতুল। এর মধ্যে মায়োকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলির প্রদাহ এবং পেরিকার্ডাইটিস বা হার্টের চারপাশে আস্তরণের প্রদাহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে ট্রায়ালগুলোর সাথে সম্পর্কিত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।
১২ বছরের কম বয়সীসহ সব শিশুদের টিকা দেয়ার জন্য তাদের পিতামাতা এবং শিক্ষকরা আগ্রহী। তবে কোভিড-১৯ এর ঝুঁকির বিরুদ্ধে করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোকে ভারসাম্যপূর্ণ করার জন্য নিয়ামকদের প্রয়োজন হবে। সি.ডি.সি. উপদেষ্টা কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, ১২ বছরেরও বেশি বয়সী লোকদের জন্য টিকা নেয়ার সুবিধা হার্টের সমস্যাসহ অন্যান্য ঝুঁকি থেকে বেশি। এফ.ডি.এ. ট্রায়ালে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের গ্রুপে ৩ হাজার শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছে। ওই গ্রুপের জন্য ফলাফল সবার আগে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন