শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গুর ব্যাপারে সতর্ক হোন

ফজলে রাব্বি | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২১, ১২:০৩ এএম

করোনার ছোবলে বিপর্যস্ত দেশ। প্রতিদিন বেড়ে চলেছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই মধ্যে আবার নতুন করে বেড়েছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৮৪৪ জন। এর মধ্যে অধিকাংশ রোগীই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা, যা উদ্বেগজনক। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু রাজধানী ঢাকায় মহামারি আকার ধারণ করে। তখন করোনা ছিল না, তারপরও স্বাস্থ্য বিভাগকে তখন হিমশিম খেতে হয়েছে। বর্তমানে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, আবার এর সাথে যদি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে দেশের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা ভয়ানক হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেয়া দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। এখন বর্ষার মৌসুম। আর বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। বৃষ্টির পানি রাস্তাঘাটের ময়লা আর্বজনার স্তূপে জমে থাকে। আবার, বাসা-বাড়ির ছাদে, ড্রেনে, ফুলের টব, আসবাবপত্র কিংবা পরিত্যক্ত টায়ার টিউবে ও পানি জমে থাকে। ফলে সেসব জায়গায় এডিস মশা ডিম পাড়ে ও বংশবিস্তার করে থাকে। এডিস মশার কামড়েই ডেঙ্গু হয়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। এডিস মশা যেসব জায়গায় বংশবিস্তার করে সেগুলোর দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। বাসা বাড়িতে ফুলের টবে অথবা যেসব স্থানে পানি জমে থাকে সেসব পানি প্রতিদিনই ফেলে দিতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে। মশক নিধন কার্যক্রম দিনে অন্তত দু’বার পরিচালনা করা হোক। যেসব জায়গায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে নাগরিকদের স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের জেল জরিমানার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, একমাত্র সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে। তাই আসুন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজে সচেতন হই, অন্যকে ও সচেতন করি।
বংশাল, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন