হাতিয়ার ভাসানচরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী তিন খালের মাথা এলাকা থেকে রোহিঙ্গা যুবক আব্দুস শুক্কুরের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত চার রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ভাসানচরের বিভিন্ন ক্লাস্টারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭ নম্বর ক্লাস্টারের হাফেজ আহম্মদের ছেলে মো. সেলিম (২০), ২৫ নম্বর ক্লাস্টারের সফি উল্যাহর ছেলে ওমর হাকিম প্রকাশ ফারুক (১৯), ৫ নম্বর ক্লাস্টারের জামাল হোসেনের ছেলে মো. কামাল (২৫) ও ৭ নম্বর ক্লাস্টারের মৃত আবু তালেবের ছেলে মো. রফিক প্রকাশ আইয়ুব (২২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাসানচর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্কুরের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা আলী মিয়া বাদি হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও একাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এটা হত্যাকান্ড বলে তারা স্বীকার করেছে। বুধবার দুপুরে তাদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর জন্য ঘাটে পাঠানো হয়েছে। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় এখনও পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) তাদের আদালতে পাঠানো সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত রোববার সন্ধ্যায় দুই-তিনজন রোহিঙ্গা গাছ কাটার কথা বলে শুক্কুরকে ক্লাষ্টার থেকে ডেকে নেওয়ার পর সে আর ফিরে আসেনি। সোমবার বিকেলে দ্বীন মোহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী তিন খালের মাথায় একটি লাশ পড়ে ক্লাস্টারে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন আলী। বিষয়টি জানার পর পরদিন মঙ্গলবার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন