নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় পানি না হওয়ায় চলতি বছর রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য সম্পদ আহরণে চলমান নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় কাপ্তাই হ্রদের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ।
সংস্থাটির রাঙামাটি অফিসের ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বছরের এই বর্ষাকালীন সময়ে হ্রদে যে হারে পানির পরিমাণ বাড়ে, এই বছর তার ন্যূনতমও বাড়েনি। পানি না বাড়ার ফলে হ্রদে ছাড়া পোনা ঠিকভাবে যেমন বেড়ে উঠতে পারেনি। তেমনি এখন মাছ ধরা শুরু হলে পানি কম থাকায় ব্যাপক হারে মাছ ধরা পড়বে।
তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার দুপুরে এক জরুরি জুম সভার মাধ্যমে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি না বাড়ায় মাছ ধরার সময়সীমা ৩১ জুলাই থেকে আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। এই ১০ আগস্টের মধ্যেও যদি হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না বাড়ে, সেক্ষেত্রে পুনরায় সভা করে আবারো নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হতে পারে। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট, মৎস্য অফিস, নৌ পুলিশ, বিএফডিসি এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএফডিসি)'র রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌ কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, হ্রদে পানি কম থাকার বিষয়টি আমাদের ভাবাচ্ছে। কারণ হ্রদে যদি নূন্যতম ১০৩/১০৪ ফুট পানি না থাকে তবে তা মাছের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এখন পানি আছে ৮৪.৬ ফুট। বিগত বছরগুলোতে এই সময়ে পানি ছিলো ৯৬ ফুট। সেই আলোকে এখন প্রয়োজনীয় পানি নেই। পানি না বাড়লে এখনই মাছ ধরা শুরু সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট্য সকলের সাথে মিটিংয়ের মাধ্যমে আপাতত বন্ধের সময়সীমা ১০দিন বাড়িয়েছি।
বিএফডিসি রাঙামাটির ডেপুটি ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম জানান, আপাতত ১০ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধের সময়সীমা বাড়ল। তবে সেটা নির্ভর করছে পানি কি রকম বাড়ছে তার ওপর। যদি পানি ১০৩ ফুট হয় তবে ১০তারিখ মধ্যরাতের পর মাছ ধরা শুরু হবে। আর যদি তা না হয়, তবে আমরা ৮-৯ আগস্ট আবার সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন