তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ বিচারিক ক্ষমতা হাতে নেয়ার পর দেশের সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। প্রসিকিউটর বিচারকরাও তা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী হিশেম মেচিচি’কে বরখাস্ত করে তিনি ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়েছেন। জারি করেছেন জরুরি অবস্থা। বিরোধী রাজনীতিকরা একে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়েছে, ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে প্রেসিডেন্ট এক মাসের নির্বাচিত পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন। এরপর শুরু করেছেন দমনপীড়ন। এতে দেশটির অনিশ্চয়তা আরো গভীর হয়েছে। এক দশক ধরে সেখানে যে গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা আকস্মিকভাবে থমকে গেছে। ২০১০ সালে এ দেশটিতে প্রথম বিপ্লব শুরু হয়। তাকে অভিহিত করা হয় আরব বসন্ত হিসেবে। রাজধানী তিউনিসের একজন শিক্ষক সুহা রাশেদ বলেছেন, দেশে অর্থনৈতিক অব্যবস্থায় বিরক্ত জনগণের প্রতিবাদ বিক্ষোভের পর প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। এতে দেশটিতে করোনা মহামারি পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। রাজনীতি হয়ে পড়েছে বিকলাঙ্গ। তবে ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে নেয়া নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বেন গুয়েরডানের একজন অধিবাসী মোহাম্মদ আলি বলেন, তিনি এবং অন্যরা যাকে চিনতেন, যার পক্ষে ছিলেন, তারা ক্ষমতা নিয়েছেন। গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন