শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিবার নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে শ্বশুবাড়িতে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি যুবক মিরাজের। অবশেষে পূর্বশত্রুতার জের ধরেই প্রতিপক্ষদের হামলায় ধারালো অস্ত্রের তার আঘাতে বাম পা হারাতে হলো। প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে শরীর থেকে পা বিছিন্ন করেছে। এ মর্মান্তিক ও লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনির মৌলবীকান্দি বাওন ভিটা গ্রামের আনোয়ার কল্যানের বাড়িতে। এসময় তার ছেলে নাজমুল খানকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গত বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থাল থেকে মিরাজ খানের কাটা পা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার কালাই সরদারের চর গ্রামের কবির খানের পরিবারের সাথে একই এলাকার রহমান হাওলাদার, কামাল কাজী, জামাল কাজী, সুমন তালুকদারের দীর্ঘদিনের গ্রাম্য দলাদলী ও শত্রুতা চলে আসছে। আহত মিরাজ খান রক্ষা পেতে দীর্ঘ চার মাস যাবৎ স্ত্রী, ছেলে নাজমুলকে নিয়ে ছেলের শ্বশুর আনোয়ার কল্যানের বাড়ি মৌলবীকান্দি বাওন ভিটা নামক স্থানে বসবাস করতেন।
প্রতিপক্ষের ৩০-৪০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে আনোয়ার কল্যানের ঘরের সামনে রাস্তার উপর বোমা বিস্ফোরণ করে আতস্ক ছড়িয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে মিরাজ খানের বাম পা কেটে শরীর থেকে বিছিন্ন করে এবং ছেলে নাজমুলকে কুঁপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা প্রেরণ করেন। পরে মিরাজ খানের লোকজন ভোরে ক্ষিপ্ত হয়ে সমিতির হাট এলাকার কাসেম তালুকদারের ছেলে তাইজুল তালুকদারকে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কাসেম তালুকদার বলেন, আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত না। ফযরের নামাজ মসজিদে আদায় করে ছেলে নিয়ে ঘরে আসা মাত্র ওরা দা দিয়ে কুপিয়েছ। এসময় ঘরে ঢুকে দুইটি স্বর্ণের চেইন, তিন লাখ নগদ টাকা ও চারটি গরু নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, রাতেই আমরা ঘটনাস্থল থেকে মিরাজের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন পা উদ্ধার করি এবং আসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন