ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার মো. শামসুল ইসলামের সঙ্গে পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কার্যনির্বাহী কমিটি।
ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান আজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, এবারের লকডাউন সবচেয়ে কঠোর হলেও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে। লকডাউনের ঘোষণায় গত ৩০ জুন ২০২১ ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ সংগঠনের সকল সদস্যকে নিজ নিজ পেশাগত পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানান। অথচ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চলাচলে বাধার সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি গাড়ী, সিএনজি ও মোটর বাইকে সংবাদপত্রের স্টিকার/ব্যানার থাকা এবং গণমাধ্যমের পরিচয়পত্র দেখানোর পরও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। বিষয়টি অনভিপ্রেত, দু:খজনক। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, লকডাউন চলাকালে গত বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ডেমরা জোনের এডিসি দীন মোহাম্মদের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে একদল পুলিশ ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের সাইনবোর্ড মোড় এলাকায় যানবাহন থামিয়ে চেক করেন। এসময় সংবাদপত্রের ব্যানার সম্বলিত গাড়ি থামিয়ে পরিচয়পত্র দেখান শামসুল ইসলাম। সাংবাদিক পরিচয় জেনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এডিসি দীন মোহাম্মদ। একইসঙ্গে তিনি সিএনজিতে থাকা সংবাদপত্রের ব্যানার ছিড়ে ফেলেন এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ, মো. শামসুল ইসলামের সঙ্গে পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে লকডাউনে বিধি-নিষেধ চলাকালে গণমাধ্যমকর্মী তথা সাংবাদিক, সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও নিউজ পোর্টালে কর্মরত অন্যান্য কর্মীরা যাতে কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আবারও আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি প্রদান করেন নেতৃদ্বয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন