শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

জীবন হাতে জীবিকার পথে

ফেরিঘাট ও মহাসড়কে উপচেপড়া ভিড় ট্রাক ভ্যান অ্যাম্বুলেন্স রিকশা এমনকি হেঁটে ঢাকায় আসছে মানুষ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকামুখি মানুষের ঢল। শিমুলিয়া, আরিচা, দৌলতদিয়া, কাজিরহাট-সব ফেরি ঘাটেই মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মানুষের ভিড়। কেউ আসছেন ট্রাকে, কেউ পিকআপভ্যানে, কেউবা রিকশাভ্যানে। আবার যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেও আসছে মানুষ। রাজধানীর গাবতলী এলাকায় দেখা গেছে, আমিনবাজার ব্রিজের দুই লেনেই গিজগিজ করছে মানুষ। ঊর্ধ্বশ্বাসে ঢাকার দিকে ছুটে চলা এসব মানুষের মাথায়, ঘাড়ে ও হাতে নিজেদের ওজনের চেয়েও বড় বড় ব্যাগ আর চোখে-মুখে অবর্ণনীয় ভোগান্তির ছাপ। আছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের ভয়ও। ঢাকায় ঢোকার জন্য এই মানুষগুলো কমপক্ষে তিনটি যানবাহন বদলেছে। ক্ষেত্র বিশেষে এই সংখ্যাটা দশের অধিকও।

কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই ব্যবসায়ীদের অনুরোধে গার্মেন্টস খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিধিনিষেধ চলমান থাকায় গণপরিবহনও বন্ধ। এমতবস্থায় জীবিকার জন্য চাকরি বাঁচাতে যে কোনো উপায়েই হোক ফিরতে হবে কর্মস্থলে। সেই তাগিদ থেকে হাজার হাজার মানুষের জীবনের ঝুঁকি আর সীমাহীন ভোগান্তি নিয়ে ঢাকামুখি যাত্রা। ঢাকামুখি গার্মেন্টস কর্মীরা জানান, গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন ও কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাড়িতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ করে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে ফিরছেন। কয়েকজন যাত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, সরকার লকডাউন দেয়, আবার লকডাউনের মধ্যে অফিসও খুলে দেয়, কেন?

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গত ২২ জুলাই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, ৫ আগস্টের আগে পোশাক কারখানা কোনোভাবেই খুলবে না। এবার বরং যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠোর লকডাউন হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, অফিস, আদালত, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সব কিছু বন্ধ থাকবে। যেহেতু অফিস বা কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকবে, যেহেতু যারা বাড়িতে গেছেন তারা সময় নিয়ে গেছেন, ৫ আগস্টের পরেই যেন তারা আসেন। শুধু ঈদের আগে নয়, গত ২৭ জুলাই দুপুরেও করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠক শেষে সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যে লকডাউন চলছে, তা ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলতে থাকবে। যদিও আমাদের শিল্পপতিরা পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন, আমরা সেই অনুরোধ বোধহয় গ্রহণ করতে পারছি না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের সিদ্ধান্তের হেরফেরের কারণেই অসহায় চাকরিজীবি মানুষগুলোকে এভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হলো। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই দেখা গেছে ঢাকামুখি মানুষের স্রোত। অনেকে ঢাকায় ঢুকেছেন সন্ধ্যার পর। রাজধানীর গাবতলী এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্বপালনরত একজন ট্রাফিক পুলিশ বলেন, হুট করে ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসার পর সকাল থেকেই হেঁটে ঢাকায় ঢোকা মানুষের সংখ্যা দ্রæত বৃদ্ধি থাকে। আমাদের কি করার আছে। ওরা আসছে জীবিকার তাগিদে। ওদেরকে বাধা দেয়ার তো কিছু নাই। সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোড় এলাকা থেকে সপরিবারে পিকআপে করে সাভারের বাইপাইল পর্যন্ত এসেছেন আবুল হোসেন। একশত টাকার ভাড়া পাঁচশত টাকা করে দিয়েও ঢাকা এসে পৌঁছাতে না পারার আক্ষেপ এবং ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে এই ব্যক্তি বলেন, ছোট বাচ্চা আর অসুস্থ বউ নিয়ে ১০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা করে দিয়ে বাইপাইল পর্যন্ত এসেছি সিরাজগঞ্জ থেকে। বাইপাইল থেকে গাবতলী ব্রিজ পর্যন্ত আসতে পরিবহন বদলেছি আরও তিনটি। এরপরে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা হাঁটতেও হয়েছে তবুও এখন পর্যন্ত ঢাকায় পৌঁঁছতে পারিনি। যাব নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। এতো কিছু করে ঢাকায় পৌঁছাতে পারলেও নারায়ণগঞ্জ কিভাবে যাব সেটা নিয়ে আছি মহা চিন্তায়। ছোট বাচ্চাটা একটু পরে পরে রাস্তায় বসে পড়েছে ক্লান্তির কারণে। বউও আর কুলাতে পারছে না।

মিরপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন শেফালী আক্তার। গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে খবর পাওয়ার পরেই শুক্রবার রাত দশটায় নওগাঁ থেকে একই এলাকার আরও তিন-চারজন সহকর্মীসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। রাস্তায় ৬ থেকে ৭টি পরিবহন ভেঙে, হেঁটে আবার কখনো অটোরিকশায় চেপে আমিনবাজার এসে পৌঁছেছেন দুপুর ২টায়। পথে ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে এই পোশাকশ্রমিক বলেন, মালিকেরা আমাগো নিয়া এমন জীবন মরণ খেলা না খেললেও পারে। কারখানা বন্ধ ঘোষণা না করলেই সব থাইক্যা বেশি ভালো হইতো। আমরাতো অসহায় গরিব মানুষ। খাওয়া পরার জন্য জীবন হাতে লইয়া জীবিকার সন্ধানে আইছি। রাস্তার ভোগান্তির কথা নয় বাদই দিলাম, সামনে গেলে এখন পুলিশ ধরবো নানান কথা জিগাইবো। এতো প্রশ্নের উত্তর কই থেকা দিমু? আমরাতো পেটের দায়ে কোন কিছু না চিন্তা কইরাই রাস্তায় নাইমা আইছি।

দারুস সালাম জোনের গাবতলী চেকপোস্টের দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মাসুদ রানা বলেন, আজ অন্যান্য দিনের থেকে হেঁটে ঢাকায় ঢোকা মানুষের চাপ বেশি। গার্মেন্টস কারখান খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসার পর থেকেই এই চাপ বাড়ছে। আমরা পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করলেও মানবিক কারণে এসব শ্রমজীবী মানুষদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি আগের মতোই। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো সংবাদে ফুটে উঠেছে ঢাকামুখি মানুষের ভোগান্তির চিত্র।

ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা জানান, গতকালসকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কর্মস্থলে ফেরা শ্রমিকদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় খোলা ট্টাক, পিকআপ, প্রাইভেট কার, সিএনজি, মাহেন্দ্র, অটো ও মোটরসাইকেল যোগে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, গৌরীপুর, দাউদকান্দি, ভবেরচর, বাউশিয়া এলাকায় যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড় রয়েছে। যে যেভাবে পারছেন ঢাকা দিকে যাচ্ছেন। পায়ে হেঁটেও যত দূর পারছে যাচ্ছে লোকজন। তবে পুলিশের বিশেষ কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি মহাসড়কটিতে।

মহাসড়কে ইলিয়গঞ্জে কথা হয় কয়েকজন গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে। তারা জানান, প্রাইভেট কার, সিএনজি, অটো, মাইক্রোবাসে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। তাই ট্রাকেই যাচ্ছি। চাকরি রক্ষার্থে যেকোনোভাবে রোববার ৮টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। যেভাবে পারি যেতেই হবে।

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রির্পোটার জানান, বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় গতকাল ভোর থেকে ভিড় করছেন ঢাকামুখী হাজার হাজার শ্রমিক। জরুরি পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি ঘাটে ভেড়া মাত্রই উঠে পড়ছে সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের চাপে বাংলাবাজার ঘাটে পদ্মা পারের অপেক্ষায় ঢাকাগামী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। পদ্মায় তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসতে প্রতিটি ফেরির নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে করে বাংলাবাজার ঘাটে আসছে যাত্রীরা। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে পায়ে হেটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছে। সড়কে যাত্রীদের তুলনায় অল্পসংখ্যক ছোট ছোট যানবাহন দেখা গেছে। এতে চারগুণ-পাচগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। যানবাহন না পেয়ে যাত্রীদের পায়ে হেটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা গেছে।

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, দক্ষিণ-পশ্চিশাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ কর্মস্থলে আসতে গতকাল সকাল থেকে সারাদিন জড়ো হয়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। বিকেল নাগাদ দৌলতদিয়া ফেরিঘাটসহ পুরো দৌলতদিয়া লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিভিন্ন উপায়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মানুষের সংখ্যা। এসব যাত্রীর কর্মস্থলে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়লেও সব রকম দুর্ভোগ অগ্রাহ্য করে মানুষ ছুটছে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সকাল থেকে ঢাকা মুখী হাজার হাজার যাত্রী অতিরিক্ত গাড়ী ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আসছে। তবে থ্রি হুইলার, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ছাড়া কোন গণপরিবহন না চলার কারনে ঘাটে আসতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। প্রতিটি ফেরিতে জরুরী সেবার অ্যাম্বুলেন্স, পন্যবাহী ট্টাক, কাভার্ডভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি পার হতে দেখা যায়। সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারনে লঞ্চ সহ নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় জরুরীভাবে পারাপারের জন্য চালু থাকা ফেরিগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

রামগতি (ল²ীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ল²ীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মুখী মানুষের স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসা কর্মজীবী এসব মানুষ দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই রওয়ানা হচ্ছেন। সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোতেও অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককেই। আগের তুলনায় বেড়েছে ভীড়ও।

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ঢল নেমেছে। শনিবার সকাল থেকে টাঙ্গাইল শহরের আশিকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় এলাকায় রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ভিড় বাড়তে থাকে। যাত্রীবাহী বাস চলাচল না করায় মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহী যানবাহনে নানা কৌশলে যাত্রীরা রাজধানী ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন।

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামের পাশ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধাসহ কুড়িগ্রামের গার্মেন্টসকর্মীরা কুড়িগ্রামের চিলমারীর এই রুট হয়ে চিলমারী ও জোড়গাছ এ দুটো ঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন গার্মেন্টসকর্মীরা। সকাল থেকে চিলমারীর এই দুটো ঘাট দিয়ে যাত্রীরা নৌকাযোগে নদী পার হচ্ছেন। গুনতে হচ্ছে ৩-৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়াও।

শেরপুর জেলা সংবাদদতা জানান, শেরপুর জেলায় ঈদে বাড়িতে আসা কর্মজীবী মানুষেরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। শনিবার সকাল থেকেই শেরপুর জেলা শহর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, লেগুনা, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে করে ঢাকায় ছুটছে কর্মজীবী মানুষরা।

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চিলমারীর রমনা, জোড়গাছ, ফকিরেরহাট ঘাটে নেমেছে জনস্রোত। অনায়াসে একটির পর একটি নৌকাসহ নৌ-যান গুলো ছেড়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে। এমনকি বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারেও ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষ। গুরুদাসপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সকাল থেকেই গুরুদাসপুরের কাছিকাটা বিশ^রোড মোড় থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে ঢাকায় ছুটছে কর্মজীবী মানুষরা। যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই দেখা যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Sujit Paul Sylhet ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২০ এএম says : 0
5 তারিখের আগে আসার প্রয়োজন নেই, কারো চাকরী যাবে না, সেই প্রেক্ষিতে কারখানার আশেপাশের শ্রমিক দিয়ে ডিউটি শুরু হবে। এই যে নির্দেশনাগুলো তা সরকারী পূর্ববর্তী নির্দেশের ধারাবাহিকতায়ে একটি বিশেষ নির্দেশনা এবং সেটা মানা উচিত । কিন্তু শুভঙ্করের ফাঁকিতে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভদ্রলোকের ছদ্ববেশধারী মালিকরা মুখে বলছেন সরকারী নির্দেশনা মেনে আশেপাশের শ্রমিক দিয়ে চালাবেন। অপরদিকে তাদের ফ্যাক্টরীর ইনচার্জ/সুপারভাইজারদের মাধ্যমে চাকরী হারানোর ভয় নামক বিশেষ জাদু দিয়ে শ্রমিকদের উড়ে আসতে বাধ্য করছেন। ফলে আগামীকাল আশেপাশের নয় বরং সকল শ্রমিক দিয়ে ফ্যাক্টরী চলবে, এটা নিশ্চিত। শুধু যারা রাস্তায় রাস্তায় রাত কাটাবে কিংবা সকালে পৌছাতে ব্যর্থ হবে তারাই এবসেন্ট থাকবে । হয়তো সেটা 2-4% এর বেশি নয়।
Total Reply(0)
Sohel Khan ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২০ এএম says : 0
যারা সিদ্ধান্ত দেয় তাদের মাথায় কি আছে আল্লাহ ভালো জানে। কোনো সিদ্ধান্তই মানুষের সুফল বয়ে আনে না।
Total Reply(0)
তালুকদার টেলিকম নিয়ামতি ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২০ এএম says : 0
আরে ভাই এদেশে গরিব হয়ে জন্মানো অপরাধ ও তার শাস্তি।
Total Reply(0)
Mdshafiqilislam Mdshafiqulislam ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২০ এএম says : 0
এই সমস্ত গাজাখুরি সিদ্ধান্তে জনপ্রিয়তা কমছে না বারছে সরকার মহদয় একটু চিন্তা করে দেখুন।এমনিতেই জনপ্রিয়তা তলানিতে পৌঁছে গেছে। এভাবে দয়া করে আর নিরজাতন করবেন না।
Total Reply(0)
Sree Rajesh ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২১ এএম says : 0
গার্মেন্টস মালিক রা মন্ত্রী দের পকেট টাকা দিয়ে। সব কিছু করিয়েছে। সব কিছু খুলে দিয়েছে।যাতে মালিকদের পকেট ভরে।আর মন্ত্রীদের ও পকেট ভরে। সাধারণ লোকদের প্রতি চিন্তা নাই তাদের।চিন্তা থাকলে সরকার এই কাজ টা করতো না।
Total Reply(0)
Hasan David ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২২ এএম says : 0
কঠোর লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহণ বন্ধ রেখে গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার সরকারী ফরমানের দায় কি কেউ নিবে? করোনার মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে সারাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে ঢাকার দিকে ছুঁটতে কে বাধ্য করলো? এটাই কি সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি? অসহায় শ্রমিকের উপর এরকম হটকারী রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত কে চাপিয়ে দিলো? জেনেশুনে লক্ষ শ্রমিককে মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয়া ঘাতকের মনে কি কোনই রহম নেই? আল্লাহ না করুক, সামনের দিনে যদি দেশে আরো ভয়াবহ করোনার সংক্রামন ঘটে। শ্রমিকের দেহে করোনা সংক্রামিত হয়। আরো বিপর্যয়, আরো জীবনহানী ঘটে। তাহলে এর জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনা ও নির্দয় হটকারী সিদ্ধান্তই দায়ী থাকবে।
Total Reply(0)
আলি আরাফাত ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২২ এএম says : 0
পোশাক শ্রমিক রা হচ্ছে উগান্ডা র নাগরিক,,,,তাই সরকারের তাদের নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নাই,,,,,তারা মরলেও কি বাচলেওকি,,,,
Total Reply(0)
MD Ariful Islam ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২২ এএম says : 0
সরকারের মন্ত্রী মহোদয় সব পাগল হয়েছে তাইতো যখন যা মন চায় তখন তাই করছে জনগণের সাথে তামাশা করছে
Total Reply(0)
MD Ahsan Arif ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২২ এএম says : 0
এতো কষ্ট দিয়ে মানুষকে করোনা থেকে পরিত্রান পাওয়ার উপায় নেই!!
Total Reply(0)
Hamidul Haq ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২২ এএম says : 0
নির্দিষ্ট সময়ের আগে গন্তব্যে পৌছুতে হবে মানুষের এরকম ব্যাকুলতার কাছে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হবে এটাই স্বাভাবিক। অপরিকল্পিত লকডাউন ও হীনমন্যতার চিন্তাভানা মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলছে, ঝুঁকিতে ফেলছে সংক্রমনের।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন