টানা ৪ মাস কমিটি শূন্য থাকার পর রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে অচেনা নেতৃত্ব পেল ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ। এনিয়ে সংগঠনের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মাঝে বির্তকের ঝড় বইছে। অভিযোগ উঠেছে, আর্থিক লেনদেনে বিগত সময়ে রাজপথে অচেনা একজনকে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে। সেই সাথে ছাত্রদল করে আসা দলে অনুপ্রবেশকারীকেও দেয়া হয়েছে নেতৃত্ব। ফলে দীর্ঘ শ্রম ঘামে রাজপথে সক্রিয়রা হয়েছেন বঞ্চিত।
সূত্র জানায়, নবগঠিত ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পেয়েছেন আল আমিন। তিনি থাকেন ঢাকায়। পড়াশুনাও করছেন ঢাকাতে। বিগত জেলা ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে তার উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। অথচ স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবপতিপত্তি কাজে লাগিয়ে হয়ে গেছেন জেলার সভাপতি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নবগঠিত কমিটির সভাপতি আল আমিন বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে ময়মনসিংহ লেখাপড়া করেছি। এখন ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি। আল আমিন দাবি করেন, আমি ময়মনসিংহে ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি। রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম এবং আছি। পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন দেয়া-নেয়া নেই। তবে যারা উল্টাপাল্টা বলছে তা তাদের ব্যক্তিগত মতামত।’
জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব বলেন, যাকে জেলা ছাত্রলীগের পদ দেয়া হয়েছে সে ময়মনসিংহের রাজপথ সম্পর্কে অবগত নয়। আমরা তাকে কখনও ময়মনসিংহে দেখিনি। শুনেছি সে ঢাকায় পড়াশোনা করেছে।
সূত্রমতে, গত ২৮ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপিতে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এর র্দীঘ ৪ মাস পর গত শনিবার রাত ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও মহানগর ছাত্রলীগের আংশিক আহব্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মোহাম্মদ আল আমিনকে সভাপতি ও হুমায়ূন কবিরকে সাধারণ সম্পাদক করে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে সহ-সভাপতি ২৪ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৯ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন ৯ জন।
অপরদিকে ছাত্রলীগ নেতা নওশেল আহমেদ অনিকে আহব্বায়ক, ৭ জনকে যুগ্ম আহবায়ক ও ২৪ জনকে সদস্য করে ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগের আংশিক আহব্বায়ক কমিটি করা হয়। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নবগঠিত কমিটির একাধিক নেতা বলেন, বির্তক এড়ানোর জন্যই কয়েকজন অচেনা মুখ নেতৃত্বে আনা হয়েছে। এর পেছনেও রাজনীতির বড় ভাইদের প্রভাব রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন