গত কয়েকদিন উজানে বৃষ্টির অভাবে যমুনায় পানি কমলেও শুর হয়েছে নদী ভাঙ্গন। এর ধারাবাহিকতায় বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ির বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বানিয়াজান স্পারের মাঝে ধ্বস নেমেছে। সামনে নদীর পানি ও ¯্রাোতের ধার বাড়লে এই ধ্বস ও ভাঙ্গন বেড়ে স্পারটি পুরোপুরি ধ্বসে পড়লে ধুনটের ভান্ডারবাড়ি ও গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন দুটির ৫০টি গ্রামের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসি।
তারা জানিয়েছেন যমুনার ভাঙ্গন রোধ ও ধুনটের দুটি ইউনিয়ন ভান্ডারবাড়ি ও গোসাইবাড়িকে রক্ষার উদ্দেশ্যেই বানিয়াজানে স্পারটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ি ২০০৩ সালে যমুনার ভাঙ্গন রোধে সারিয়াকান্দী উপজেলা ও ধুনট উপজেলায় ৬টি স্পার নির্মান করা হয়। প্রতিটি স্পারের নির্মান ব্যায় ১১ কোটি করে মোটর ৬৬ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল।
তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে উল্লেখিত স্পারগুলোর মধ্যে শুধু সারিয়াকান্দীর হাসনা পাড়ায় দুটি স্পার এখনও টিকে রয়েছে। এদিকে ইতোমধ্যেই বানিয়াজান স্পারের ১৫০ মিটার কংক্রিটের ৫০ মিটারই বিলীন হয়ে গেছে। অপর তিনটি স্পারের অস্তিত্বই নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমীনে ঘটনাস্থল্ েযেয়ে দেখা যায় , বানিয়াজান স্পারের কংক্রিট অংশের গোড়ায় ধ্বস নেমেছ। এই ঘটনা দেখে স্পারের পাশে গড়ে উঠা দোকান গুলো সরিয়ে নিয়েছে দোকানদাররা ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জহুরুল ইসলাম জানান, ধ্বস নামার কথা জেনে ঘটনাস্থলে চলে আসি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে জানিয়ে বিষয়টি ফেন করে জানিয়ে দিয়েছি।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশল মোঃ হুমায়ন কবির জানান, ধ¦সের খবর পাওয়ার পর সেখানে বোর্ডের একটি পরিদর্শন টীম চলে গেছে।
তাদের সরেজমীন রিপোর্ট ও সুপারিশের পর দ্রুত পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে । ইনকিলাবকে তিন আরও জানান , এমুহুর্তে নদীতে পানির ¯্রােত ও গভীরতা কম থাকায় মেরমতি কাজে সমস্যা হবেনা । তবে ভান্ডারবাড়ি ও গোসাইবাড়ির উদ্বিগ্ন মানুষ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন