রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতি ঘটছে যা সকলের জন্য উদ্বেগজনক। নারী ও শিশু নির্যাতনের ক্ষেত্রে যৌতুক ও পরকীয়া অনেকাংশে দায়ী। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারণে হত্যা-আত্মহত্যা অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। রাজশাহীতে গত সেপ্টেম্বর মাসে ৩৫ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১৭জন শিশু ও ১৮ নারী। এসব ঘটনার মধ্যে তিনজন নারী ও শিশুকে হত্যা, তিনজনের আত্মহত্যা ও হত্যার চেষ্ঠা, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও নির্যাতন শিকার হয়েছেন ৯জন, এদের মধ্যে নিখোঁজ বা অপহরণ শিকার হয়েছে ৫জন নারী ও শিশু। উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) এর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। লফসের তথ্য মতে, সেপ্টেম্বর মাসে বাঘায় ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ৩দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা আক্তার জাহানের আত্মহত্যা, নগরীর নতুন বুধপাড়ায় নিজবাড়ি একজন মা তার শিশু কন্যাকে কুপিয়ে হত্যা করে, দূর্গাপুর দেবীপুরে প্রতিবন্ধি ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ এবং সন্তান প্রসব, নগরীতে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ, বাঘায় চিকিৎসার নামে ৪৮ বছর বয়সী এক নারীকে নির্যাতন করার অভিযোগ, বাঘমারায় স্বামী কর্তৃক অমানুবিক নির্যাতনের শিকার স্ত্রী আনোয়ারার মাথার চুল কেটে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া, বাঘমারায় মাদক আসক্ত যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে ভাবীকে, নগরীর শাহমুখদুম এলাকা থেকে ২৬ বছর বয়সী নারী নিখোঁজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর ঘটনা ঘটে।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহনাজ পারভীন বলেন, রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশজনক। সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না। স¤প্রতি রাজশাহী অঞ্চলে নারী -শিশু নির্যাতনসহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধ মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন