শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

জাবির জিমনেসিয়াম ও সুইমিংপুলের বেহাল দশা

প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জাবি সংবাদদাতা : প্রশাসনের অযতœ আর অবহেলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) একমাত্র জিমনেসিয়াম ও সুইমিংপুলটির বেহাল দশা। সংস্কারের অভাবে জিমনেসিয়ামের ছাদে ধরেছে ফাটল আর সুইমিংপুলটিতে নেই পানি। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি অতি দ্রæত এসব সংস্কার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া হোক।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জিমনেসিয়ামটির ছাদে ধরেছে অসংখ্য ফাটল। তাই বৃষ্টি হলেই এসব ফাটল দিয়ে পানি পড়ে মেঝেতে। এ অবস্থা চলতে থাকলে যে কোনো সময় ছাদটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘনটা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। সংস্কার করতে বিষয়টি কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও তেমন কোনো ফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ জিমনেসিয়ামের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের। এদিকে সংস্কারের অভাবে ২০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে জাবির সুইমিংপুলটি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নির্মাণ কাজে অসম্পূর্ণ থাকায় মাত্র ৮ বছরের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় সুইমিংপুলটি। যা বিগত ২০ বছরেও আর চালু করতে পারেনি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। এতে করে সুইমিং পুলের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৭৮ সালে সুইমিং পুলটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এটির জন্য তৎকালীন ৪২ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও নির্মাণ করা হয়নি প্রয়োজনীয় দর্শক গ্যালারি, ড্রেসিং রুম। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য দেয়াল, প্রবেশদ্বার ও সার্বক্ষণিক প্রহরীর ব্যবস্থা না থাকায় এখানে অবাধে চলাচল করছে বহিরাগতরা। যার ফলে সন্ধ্যা হলেই মাদকাসক্তদের আড্ডা বসে সুইমিংপুলের পুরো এলাকায়। যার কারণে ক্যাম্পাসের অপেক্ষাকৃত এ নির্জন এলাকাটিতে চুরি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় নারীদের শ্লীলতাহানির মত ঘটনা ঘটে থাকে।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ইনকিলাবকে বলেন, ‘দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুইমিংপুল ও জিমনেসিয়ামের এ অবস্থা থাকাটা কোনভাবেই মানা যায় না। যার কারণে সম্ভাবনা থাকা সত্তে¡ও জাবির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারছে না’। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মো সিফাতুল্লাহ জানান, ‘সুইমিং পুলটি নতুন করে চালু করতে গেলে প্রায় ১ কোটি টাকা প্রয়োজন। অথচ পুরো শারীরিক শিক্ষা বিভাগের জন্য বার্ষিক খরচ দেয় মাত্র ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-ভিসি অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা আন্তরিক। দ্রæত ব্যবস্থা নিব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন