রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

পিয়াসার সহযোগী জিসান-মিশু রিমান্ডে

পিয়াসা-মৌকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:২২ এএম

মডেল পিয়াসার দুই সহযোগী মিশু হাসান ও জিসানের বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামনুর রশিদের আদালত আসামির মিশুর পৃথক তিন মামলায় ৯ দিন এবং জিসানের পৃথক দুই মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মিশুর বিরুদ্ধে অস্ত্র, পর্নগ্রাফি এবং মাদক আইনের মামলায় ১০ দিন করে ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং জিসানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা এবং পর্নগ্রাফি আইনের মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন একই থানার আরেক তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক মিশুর বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি মামলায় এক, অস্ত্র আইনে পাঁচ এবং মাদকদ্রব্য আইনে ৩ দিন করে মোট ৯ দিন এবং জিসানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতায় ৩ দিন, পর্নগ্রাফি মামলায় একদিন মোট ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৪ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মৌ আক্তারের প্রধান সমন্বয়ক শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং তার সহযোগী মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের বিরুদ্ধে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের কাছে। পিয়াসা ও মৌকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই মিশু ও জিসানকে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে এনে তাদের চারজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, মাদক ব্যবসা, অবৈধ অস্ত্র ও চোরাচালানসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। এ সব অভিযোগ এরই মধ্যে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পাশাপাশি ওই চারকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জড়িত অন্যান্যদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
এর আগে তাদের বিরুদ্ধে ভাটারা ও খিলগাঁও থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, র‌্যাব বাদী হয়ে মিশু ও তার সহযোগী জিসানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে। সেই মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এদিকে, খিলগাঁও থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, একজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মিশু ও তার সহযোগী জিসানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়।
সম্প্রতি মাদকসহ আটক মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মৌসহ অর্ধশতাধিক মডেলকে অনৈতিক ও প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতেন শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান। তাদের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। কিনেছেন নামীদামি ব্রান্ডের বিলাসবহুল সব গাড়ি। এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিশু ও তার সহযোগীকে একটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, মাদক, ভারতীয় জাল রুপি, বিলাসবহুল ফেরারি গাড়িসহ গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে শেষে তাদের আদালতে তুলা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন