স্টাফ রিপোর্টার : সউদী দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির উদ্যোগ নিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ। সম্প্রতি আপিল শুনানির দিন ধার্যের জন্য আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে। কাল রোববার আবেদনটি আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতির আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
২০১২ সালের ৫ মার্চ রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের কূটনীতিক এলাকার ১২০ নম্বর সডকের ১৯/বি নম্বর বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী (৪৫)। ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সউদী দূতাবাস কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। এর কিছুদিন পর ৪ জুন রাজধানীর দক্ষিণখান থানার গাওয়াইর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম মামুন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও আল আমীন নামের তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের ডাকাতি, দস্যুতা ও ছিনতাই প্রতিরোধ টিম। এ সময় তাদের কাছ থেকে কালো রঙের একটি বিদেশি ২২ বোরের রিভলবার উদ্ধার করা হয়। অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ওই বছরের তাদের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। আসামি মামুন ও আল আমীন আদালতে স্বীকার করেন, ৫ মার্চ দিবাগত রাতে ছিনতাই করতে গিয়ে বাধা দেয়ায় তারা সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তাকে এ অস্ত্রটি দিয়েই গুলি করে হত্যা করেন। পরে আসামি ৫ জনকে খালাফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। ৩১ অক্টোবর মামলার অভিযোগ গঠন করা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সৌদী দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক। নিয়ম অনুসারে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর আসামি সাইফুলকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদÐাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যু আদেশপ্রাপ্ত অপর ৩ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদÐ এবং পলাতক একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনকে মৃত্যু আদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদÐ এবং পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন