বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে পানিবদ্ধতা

মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী

মাহবুব আলম লাভলু, মতলব (চাঁদপুর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

অব্যাহত প্রবল বর্ষণে চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে মারাত্মক পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ময়লা-আবর্জনায় ও জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। যার কারণে এ মারাত্মক পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, বাড়ি, রাস্তা ও মৎস্য খামার।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টিতে উপজেলার হানির পাড়, কলাকান্দা, মিলারচর, দশানী, জোড়খালী, বালুর চর, মাথাভাঙ্গা, পাঁচআনী, নাউরী, হলদিয়া, লুধুয়া, শিকিরচর, ছেংগারচর, কেশাইরকান্দি, জীবগাঁও, পাঠান বাজার, ঝিনাইয়া, মরাদন, অলিপুর, নয়াকান্দি, সুজাতপুর, ঠাকুরচর, রুহিতার পাড়, বদুরপুর, বাগানবাড়ী, হলুদিয়া, নিশ্চিন্তপুর, দুর্গাপুর, লবাইরকান্দি, ইসলামাবাদ, ফতেপুর, গজরা, এখলাশপুরসহ প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকার উচু ও নিম্নাঞ্চলে পানিবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিবদ্ধতায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে ফসলি জমি, বাড়ি, রাস্তা ও মৎস্য খামার। রোপা আমন ধান, বীজতলা, আখ, সবজি, ফল ও কাঠ গাছের বাগান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মৎস্য খামার তলিয়ে মাছ ছড়িয়ে পড়েছে আশে পাশে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, পানি সরার খালগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ছেংগারচর বাজার এলাকায় পাউবো’র খালটি একে ভারে বন্ধ হয়ে আছে। খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় এই পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এবার পানিবদ্ধতার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবো। প্রতি বছরই পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে অনাবাদী থাকে কয়েক হাজার একর জমি। এভাবে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এ সেচ প্রকল্পটি আমাদের জন্যে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, ময়লা-আবর্জনায় ও জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলো ভরাট হয়ে পানি চলাচল করতে পারছে না। বিলের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ফসলের জমির ক্ষতি হচ্ছে। পানিবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা না নিলে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে পাউবো কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত পাউবো কর্তৃপক্ষ সমস্যা গুলোর সমাধান করেন নি। দায়িত্ব প্রাপ্ত পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, খাল দখল মুক্ত ও সংস্কার করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত গতিতে পানি নিস্কাশন করা হবে।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য পানিবদ্ধতা নিরসনের স্থায়ী সমাধান জরুরি বলে দাবি কৃষি পরিবারগুলোর। তা না হলে মূলধন হারিয়ে কৃষকরা পথে বসবে। প্রকল্প কর্তৃৃপক্ষের পরিকল্পনায় ত্রুটি, খালগুলো দখল, আবর্জনা ও কচুরিপানা দিয়ে আবদ্ধ থাকা ও পাম্প দ্বারা দ্রুত গতিতে বৃষ্টির পানি প্রকল্পের বাইরে না সরানোর ফলে এ পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ার কারণ বলে সচেতন মহল মনে করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন