কঠোর লকডাউন প্রায় শেষ হতে চলেছে। সরকার ইতোমধ্যে লকডাউন শিথিলের প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে। তবে কঠোর লকডাউনের মধ্যেই প্রতিনিয়ত রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল ও ব্যক্তিগত যানবাহন বাড়ছে। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। লকডাউনে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও মানুষ নানা উপায়ে রাজধানীতে আসছেন। আবার অনেকে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের দিকেও যাচ্ছেন। সম্প্রতি গার্মেন্টস ও শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে আগের চেয়ে অনেকটাই ঢিলেঢালা। যদিও সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১০ আগস্ট পর্যন্ত থাকবে সব ধরনের বিধিনিষেধ। কিন্তু জনগণ অনেকেই এ বিধিনিষেধ মানছে না।
গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেওয়ার পর থেকে রাস্তায় ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচল অনেক বেড়েছে। গার্মেন্টসে বা শিল্পকারখানায় কাজের কথা বলে অনেকেই ছুটছেন অন্য কাজে। এদিকে ঈদের পর থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অনেকটাই ঢিলেঢালা
রাস্তায় দায়িত্ব পালন করা একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ায় শ্রমিকরা অফিসে যাচ্ছেন। এছাড়া ব্যাংকসহ অন্যান্য অফিসেরও গাড়ি চলাচল করছে। এর ফলে আমরা তাদের কথা বিবেচনা করে অনেকটা ছাড় দিচ্ছি। তবে অপ্রয়োজনে কেউ বের হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রধান সড়ক ছাড়া অলিগলিতে, পাড়া-মহল্লায় রয়েছে নানা বয়সীদের পদচারণা। পড়া-মহল্লায় চলছে চায়ের স্টলে আড্ডা। শুধু তরুণরাই নয় আড্ডা দেওয়ার তালিকা বয়স্করাও রয়েছে। অনেকেই বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত ছিল না। করোনা সংক্রমণে ঝুঁকির বিষয়ে তাদের মধ্যে কোনো ধরনের চিন্তা-ভাবনা নেই।
ঢিলেঢালা চেক হওয়ার কারণে অনেকে গাড়ি নিয়ে শুধু শুধু ঘুরতে বেরিয়েছেন। এতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। রাজধানীর সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল অনেক বেশি। বিশেষ করে সড়কগুলোতে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি। কোথাও কোথাও মনে হবে স্বাভাবিক সময়ের মতোই। অনেকেই নানা ধরনের কাজে বের হয়েছেন ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রাজপথে রিকশার দৌরাত্ম্য ছিল বেশি। তবে ভাড়া অনেক বেশি। জরুরি কাজে যারা বের হয়েছেন তারা পড়েছেন বিপাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন