বগুড়ায় বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ থাকায় আলু বিক্রি কম হচ্ছে। ফলে বৃহত্তর বগুড়া অঞ্চলের ৫৫টি হিমাগারে মজুদ অবস্থায় পড়ে আছে ৩-৪ লাখ মেট্রিক টন আলু। বগুড়ায় পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি আলু প্রকারভেদে ১২-১৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে খুচরা ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও হিমাগার মালিক, মজুদদার এবং ফড়িয়ারা পড়েছেন চরম বিপাকে।
নিয়ম অনুযায়ী বগুড়ায় ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আলু কিনে হিমাগারে মজুদ করা হয়। জুন, জুলাই, আগস্টের মধ্যে হিমাগারের অর্ধেক আলু শেষ হয়ে যায়। এর ফলে হিমাগারের বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় হয়। পাশাপাশি ব্যাংক, বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া লোনের টাকার একটি অংশ পরিশোধ হয়ে যায়।তবে হিমাগার মালিক সমিতির অফিস সেক্রেটারি তৌফিকুল ইসলামের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বগুড়া ও জয়পুরহাটের ৫৫টি হিমাগারের অর্ধেক আলুও বাজারে যায়নি। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষি, হিমাগার মালিক, ফড়িয়া ব্যবসায়ী ও মজুদদাররা।
কৃষি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত আলু মৌসুমে বগুড়ায় ৫৭ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১২ লাখ মেট্রিক টন। এই উৎপাদিত আলুর প্রায় অর্ধেকটাই মজুদ করা হয়েছে বগুড়ার ৪৮টি হিমাগারে। বগুড়ার হিমাগার মালিক ও তরুণ ব্যবসায়ী নেতা পরিমল প্রসাদ রাজ ইনকিলাবকে বলেন, মজুদের মাত্র ৩০ শতাংশ আলু হিমাগার থেকে বেরিয়েছে। এর ফলে ব্যাংক, এনজিও থেকে নেয়া লোনের টাকার চাপে কাহিল হয়ে পড়ছেন হিমাগার মালিক, মজুদদার ও ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা।
তার মতে, এ বছর আলুর বাজার চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। ব্যবসায়ী, চাষি ও হিমাগার মালিকদের আর্থিক বিপর্যয় ঠেকাতে দ্রুত আলু রফতানির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও সরকারি ত্রাণ তৎপরতায় খাদ্য সামগ্রী হিসেবে আলুকে দিতে হবে অগ্রাধিকার। তাহলেই কেবল আলুর বাজারের চাঙ্গা ভাব ফিরে আসতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন