পুঠিয়ায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল ওহাবকে দুই দিন রিমান্ডে মঞ্জুর করেছে আদালত। গত রোববার রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আল আমিন শেখ এ রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে রাজশাহীর পবা উপজেলার কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিহত খাদিজা আক্তারের বিয়ে হয় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল ওহাবের সাথে। বিয়ের পর থেকে স্বামী আব্দুল ওহাব যৌতুকের জন্য খাদিজাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। গত ২৬ মে আব্দুল ওহাব যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে ঢাকা চলে যায়। পরে ঢাকা থেকে ফিরে এসে যৌতুকে টাকা না দিলে তাকে জানে মেরে ফেলা হবে হুমকি দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ জুন রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় যৌতুকের দাবিতে খাদিজার স্বামী আব্দুল ওহাব মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। পর দিন হত্যাকান্ডকে অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি আব্দুল ওহাব তার ঘরের প্রবেশ পথে তীরের সাথে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এছাড়াও রাতে নিহতের মা নার্গিস আরা বেওয়াকে ফোনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আব্দুল ওহাব জানায়। ওই দিন সকালে পুঠিয়া থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পরে নিহতের মা নার্গিস আরা বেওয়া বাদি হয়ে পুঠিয়া থানায় আব্দুল ওহাবসহ তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এই হত্যা মামলায় পুঠিয়া থানা পুলিশ আব্দুল ওহাবকে আটক করে জেলহাজতে প্র্রেরণ করে।
গত ২৪ জুলাই নিহতের ময়নাতদন্তে রিপোর্টে নিহতের মাথায় গুরুতর আঘাতে চিহ্ন, গলায় আঙ্গুলের ছাপ রয়েছে বলে তদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করায় আসামি আব্দুল ওহাবকে জিজ্ঞাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। রিমান্ড শেষ হলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন