গত শুক্রবার থেকে সারা দেশের সাথে বরিশালেও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আকাশ পরিবহন শুরু হলেও সরকারি এয়ারলাইন্সটির ঘোষণা আর বাস্তবে ফ্লাইট পরিচালনা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে বরিশালে বিমানের ১টি ফ্লাইটের পাশাপাশি বেসরকারি ইউএস-বাংলা ৪টি এবং নভোএয়ার ২টি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। দীর্ঘ লকডাউনে আটকেপড়া বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন এসব ফ্লাইটে ঢাকা-বরিশালে যাতায়াতও করছেন। বেসরকারি দুটি এয়ারলাইন্স ৩ হাজার ৪শ’ টাকা থেকে শুরু করে ৯ হাজার টাকায়ও টিকেট বিক্রি করছে। মানুষ অনেকটা নিরুপায় হয়েই অযৌক্তিক ভাড়ায় বেসরকারি এয়ালাইন্সে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অথচ বিমান বাংলাদেশের গণসংযোগ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বরিশালে প্রতিদিন দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনার কথা জানানো হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। বিমানের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। তবে সংস্থাটির বরিশাল সেলস অফিস বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে পারেনি। অথচ যাত্রীরা এ নিয়ে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি ও বিমানের সেলস অফিসেও যোগাযোগ করছেন। তবে কারো কাছেই কোন জবাব নেই।
অনেক যাত্রীই বিমানের এ ধরনের কর্মকান্ডে ক্ষুদ্ধ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। যেখানে দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স বরিশালে প্রতিদিন ৫-৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে, সেখানে যাত্রী অভাবের অযুহাতে গতকাল বিমান একমাত্র ফ্লাইটটিও বাতিল করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন