চলছে ভরা বর্ষা। কৃষকের আমন ধান রোপণের সময়। কিন্তু এবার দীর্ঘদিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় নীলফামারীতে কৃষক আমন ধান রোপণ করতে পারছেন না। কেউ কেউ ডিপ শ্যালোর সেচ দিয়ে আমন রোপন করছেন। তবে খরার তাপে জমি ফাঁটল ধরেছে, দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষির উপর নির্ভরশীল মানুষজন। যাদের সেচ সুবিধা রয়েছে তারা সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপন করছেন। রোপনে দেরি হওয়ায় আমনের বীজ তলার চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার নীলফামারীতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৫ হেক্টর। তবে অনাবৃষ্টির কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা।
সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কৃষক মনোরঞ্জন রায় সাধুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবার বৃষ্টির মুখ দেখির পাও নাই। ক্ষেত খামার শুকিয়া ফাটিয়া গেইছে। আষাড় গেলো শ্রাবন যায়ছে একদিনেও বৃষ্টি নাই। হামরা ওয়া গারিবার পাইছি না। ওয়া গারির না পাইলে হামরা বউ ছাওয়া নিয়া কেং করিয়া খামো, হামার পেটোত এবার ভাত যাইবে না। মোর বারো বিঘা জমি আছে, মুই এলাও গারীর পাও নাই।
ডোমার উপজেলার কৃষক আব্দুর রহিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হামার এবার মরণ ছারা কিছু নাই। মুই এক বিঘা জমিতেও ওয়া লাগেবার পাও নাই। প্রচÐ ওউদ ও খরার কারণে আবাদি জমিগুলাত পানি নাই। সেঁচ দিবারও মোর উপায় নাই। মুই এবার কেং করিয়া পরিবার নিয়া চলিম।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় আমন রোপনে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের বীজতলার চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ সেচ দিয়ে চারা রোপন করছেন, তবে এতে কৃষকের খরচ বেশি হবে।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জমিতে পানি না থাকায় কৃষক আমন রোপনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অনেকে আবার সেচ দিয়ে চারা রোপন করছেন। আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করছি কৃষকদের সহযোগিতা করার জন্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন