কাঁচামরিচ নিয়ে ফটকা ব্যবসা করছে নরসিংদীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। ৫০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। চার-পাঁচদিন ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার পর এখন কাঁচামরিচ ২০০টাকা দরে নেমে স্থিতাবস্থায় রয়েছে।
হঠাৎ করে একদিনে কাঁচামরিচের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। কাঁচামরিচ চাষের এলাকা নরসিংদীর বেলাবো ও রায়পুরা বিভিন্ন বাজারে যোগাযোগ করে জানা গেছে চাষিরা কাঁচামরিচের দাম বাড়ায় নি। পাইকারি ক্রেতারা চাষিদের কাছ থেকে কাঁচামরিচ কিনে নরসিংদীর কয়েকটি আড়তে সরবরাহ করে। আড়তদাররা পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে অস্বাভাবিক মূল্যে বিক্রি করে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তারা চড়া দামে কিনে চড়া দামে বিক্রি করছেন। কাঁচামরিচ অস্বাভাবিক চড়া দামে বিক্রি হলেও বাজারে মরিচের সরবরাহ কম নয়। খুচরা বাজার ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে সব দোকানেই কাঁচামরিচ রয়েছে। অত্যধিক দাম বিধায় সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যারা আড়াইশো গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনত তারা এখন ৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, নরসিংদীর বেলাবো রায়পুরায় প্রচুর পরিমাণে কাঁচামরিচ উৎপাদিত হয়। সেখানকার চাষিরা বারোমাসই কাঁচামরিচ চাষাবাদ করে। এসব এলাকায় উৎপাদিত কাঁচামরিচ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা সরবরাহ হয়। বাজারে দিনগুলোতে ট্রাকভর্তি করে কাঁচামরিচ নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
জানা গেছে, বেলাবর নারায়নপুর বাজার ১ কেজি কাঁচামরিচ চাষিরা বিক্রি করছেন মাত্র ৮০ টাকা। নরসিংদী গ্রামের বাজারগুলোতে ১ কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। নরসিংদী জেলা শহরের বাজারগুলোতে এই কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০-৩০০ টাকা কেজি দরে। এ ব্যাপারে নরসিংদীর কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, অতিবৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচ চাষাবাদ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে থাকতে পারে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, দেশে কাঁচামরিচের কোন অভাব নেই। এরপরেও কাঁচামরিচের মূল্যবৃদ্ধির কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। সবজি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কাঁচামরিচ এর মূল্য বাড়িয়েছে। এজন্য তাদেরকে কোন জবাবদিহি করতে হচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন