রাঙামাটি কাপ্তাইয়ে বনাঞ্চল ছেড়ে বন্যপ্রাণী লোকালয়ে হানা দেয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয়দের। এদের উপদ্রবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি আতঙ্ক নেমেছে স্থানীয়দের মাঝে। তাঁরা বলছেন, বনাঞ্চলে খাবার সংকট থাকায় লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বানর। তবে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষতি হলেও এই ইস্যুতে নীরব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বনাঞ্চলে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে বানরের উৎপাতের বিষয়টি নতুন নয় কাপ্তাইয়ের শিল্প এলাকায়। প্রতিদিনই এখানের প্রতি এলাকায় হানা দেয় বানর। ধ্বংস করে ফসল। শুধু শিল্প এলাকা নয়, জীবতলী সেনাক্যাম্প, নৌবাহিনী, পুলিশ সার্কেল এলাকা, ফরেস্ট এলাকা, স্বাগতম বিল্ডিং এলাকা, লগ গেট, শিলছড়ি, ওয়াগ্গা, সুইডিশ এলাকা, শিল্প এলাকা, বিএফআইডিসি এলাকা, চিপার হাউস, জাকির হোসেন স’মিল এলাকা, চৌধুরীছড়া, প্রজেক্ট এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বানরের উৎপাতে অতিষ্ট স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, বানরের প্রিয় খাবার কলা, কাঁঠাল, পেঁপে, পেয়ারা। যেখানে এ ধরনের গাছ রয়েছে সেসব বাড়িতে প্রতিনিয়ত হানা দিচ্ছে বন্যপ্রাণী। শুধু বানর নয়, বন্যহাতির হামলা ও ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
শিল্প এলাকায় হাতির উপদ্রবে ক্ষতিগ্রস্ত আবু ইউসুফ বলেন, বন হতে হাতি লোকালয়ে এসে আমার কলাবাগান ও বাগানের বিভিন্ন ফলমূল ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ সেলিম বলেন, পাহাড়ে খাবারের সংকট হওয়ায় এলাকায় বন্যপ্রাণী খাবারের সন্ধানে এসে ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে। সম্প্রতি এ অত্যাচারের মাত্রা বেড়েছে আরও।
লিমন নামের এক গৃহবধূ বলেন, হাতির ভয়ে আমরা শিশুদের নিয়ে ভয়-ভীতি ও প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ্(ডিএফও), জানান,বন্যপ্রাণী আমাদের বনের সম্পদ,কোন বন্যপ্রাণী দ্বার ফসলের বা অন্যকোন ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তিনি আরো জানান যে বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত হওয়া ভয়-ভীতি দূর করনের জন্য এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে ও অচিরেই এর একটা সমাধন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন